Dataset Viewer
Auto-converted to Parquet
image
image
text
string
SN
int64
Filename
string
Username
string
Age
int64
Gender
string
Occupation
string
Category
string
Char Count
float64
Article link
string
Strike
bool
Bangla - English
bool
Multi - Paragraph
bool
ছুটি এমন একটি বিষয় যার নানা দিক আছে। কেউ ছুটি কাটাতে চান একা কেউ আবার দলবল নিয়ে। আবার দলবলের মধ্যে পড়তে পারে পরিবারের লোকজন কিংবা বন্ধু বান্ধব। ও হ্যাঁ, ছুটি কাটানো মানে কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার কথা হচ্ছে। ভারতীয়দের মধ্যে পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণের প্রবণতা অবশ্য বেশি। কিন্তু এমন কিছু ভ্রমণস্থল রয়েছে যেখানে পরিবারের সঙ্গে না যাওয়াই ভালো। গেলে লজ্জায় পড়তে হয়। তাই এসব স্থানে বন্ধুদের সঙ্গেই বেড়াতে যান। দারুণ উপভোগ করবেন। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্য দারুণ জায়গা হল কসৌল। হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলার এই সাজানো গোছানো গ্রাম বা শৈল শহর হল এই কসৌল। এখানে লোকজল মূলত অবসর যাপনের জন্য যান। তবে হ্যাঁ, মা-বাবার সঙ্গে এখানে না যাওয়াই ভালো। আসলে, হিল স্টেশন হওয়া সত্ত্বেও কসৌল আসলে একটি লাভার্স পয়েন্ট। এখানে প্রধানত দম্পতিরা হানিমুন এবং রোম্যান্স করতেই যান। এবার বুঝলেন তো পরিবারের সঙ্গে যেতে কেন বারন করছি ?
1
IMG_20221226_0001.jpg
u000
25
M
Student
News - Travel
801
https://eisamay.indiatimes.com/lifestyle/news-on-travel/visit-these-places-of-india-where-only-boys-can-go/articleshow/95997682.cms
false
false
false
একে শীতকাল তার উপর ছুটির দিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই দিনটা লেট নাইট পার্টিতে কাটিয়ে ফেলেন। আসলে গোটা সপ্তাহের জীবনযুদ্ধ চলার পর এই দিনটিতে একটু ফ্রি হওয়ার সময় ¤ পান। তবে রবিবার রাতের পার্টিতে একটু বেশি খাওয়াদাওয়া হয়ে পরের দিন সোমবার শরীরটা খারাপ হয়ে যায়। তাই সপ্তাহের প্রথম দিনে শরীর সুস্থ রাখতে কয়েকটি সুযপ খেলেই শরীর হয়ে উঠবে চাঙ্গা, পাবেন গোটা সপ্তাহের কাজ করার উদ্যম। এই প্রতিবেদনে রইল বেশ কয়েকটি স্যুপের রেসিপি। এখন প্রশ্ন হল কেন স্যুপ খাবেন? বিশেজ্ঞদের মতে, স্যুপ খুবই স্বাস্থ্যকর এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। হজমের সমস্যা অনেকটাই মিটিয়ে দেয়। স্যুপে মূলত শাক সবজি বা চিকেন ব্যাবহার করা হয় যা আদতে আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন সরবরাহ করে। তাই নিজেকে ঝরঝরে করে তুলতে কী কী স্যুপ খেতে পারেন রইল তারই রেসিপি
2
IMG_20221226_0002.jpg
u001
27
F
Student
News - Lifestyle
705
https://eisamay.indiatimes.com/lifestyle/food/easy-winter-healthy-vegetable-soup-recipe/articleshow/95997691.cms
true
false
false
গুঞ্জনটা অনেকদিন ধরেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল। টিম ইন্ডিয়ার ¤ টি-২০ পরিকাঠামো একেবারে আলাদা করে তৈরি করা হচ্ছে। এই ¤ ব্যাপারটি যতেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। বোর্ডের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, টি-২০ ক্রিকেটের জন্য ভারতের নয়া কোচিং সেট আপ ¤ তৈরি করা হবে। এই ঘোষণাটি আগামী জানুয়ারি মাসে করা হতে পারে। যদি এমন ঘটনা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়, সেক্ষেত্রে আগামী জানুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে ভারতের ক্রিকেট দল নতুন অধিনায়ক এবং নতুন কোচ নিয়ে খেলতে পারে। ইতিপূর্বে এই ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ইনসাইড স্পোর্টস। সেখানে বলা হয়েছিল যে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে টি-২০ ¤ ফরম্যাটে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নির্বাচন করা হতে পারে। এবার বিসিসিআই-এর এক শীর্ষ আধিকারক ইনসাইড স্পোর্টসকে জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড টি-২০ দলের জন্য নতুন কোচও নিয়োগ করতে পারে। শোনা যাচ্ছে, এই নয়া কোচ নাকি রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন।
3
IMG_20221226_0003.jpg
u002
26
F
Student
News - Sports
897
https://eisamay.com/sports/cricket/news/rahul-dravid-may-be-sacked-as-the-t20i-coach-of-indian-cricket-team-says-bcci-source/articleshow/95999773.cms
true
true
false
মারাত্মক অসুস্থ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নিজের বাসভবনের সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে নীচে পড়ে যান তিনি। ওই অবস্থায় পোশাকেই মলত্যাগ করে ফেলেন দোর্দন্ডপ্রতাপ রুশ প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ফের একবার পুতিনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ। ওই খবরে আরও দাবি করা হয়েছে, অন্ত্রের ক্যান্সারে ভুগছেন ৭০ বছরের রুশ রাষ্ট্রনায়ক। বর্তমানে চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে এই ক্যান্সার। সেই কারণেই শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ পাননি তিনি। পোশাকেই মলত্যাগ করে দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। গত বুধবার অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলি। তাঁদের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই দিন প্রেসিডেন্ট প্যালেসের সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামার সময় হঠাৎই পা পিছলে নীচে গড়িয়ে পড়ে যান। রুশ প্রেসিডেন্টের এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটি টিভি চ্যানেল দাবি করেছে, অন্তত পাঁচটি সিঁড়ি গড়িয়ে নীচে পড়ে যান তিনি। ফলে তাঁর কক্সিসেও গুরুতর চোট পান তিনি। পশ্চিমী সংবাদ-মাধ্যমগুলির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে ভুগছেন পুতিন। মারণ রোগ তাঁর অন্ত্রে ছড়িয়ে পড়ায় হজমের সমস্যা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের।
4
IMG_20221226_0004.jpg
u003
26
F
Student
News - Politics
1,018
https://eisamay.com/world/vladimir-putin-russian-president-soiled-himself-after-falling-down-stairs-says-media-report/articleshow/95976486.cms
false
false
false
ডেডলাইন ডিসেম্বর। তার মধ্যে দেশশুদ্ধ সবাইকে বাধ্যতামুলকভাবে বদলে ফেলতে হবে নিজের নাম। আজব ফতোয়া জারি করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। পিয়ংইয়ংয়ের তরফে জারি করা সরকারি নির্ধেশিকায় বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে 'দেশভক্তিমূলক' নাম রাখতে হবে শিশুদের। এই নিয়ে বেশ কয়েকটি উদাহরণও দিয়েছে কিমের প্রশাসন। নির্দেশিকা ¤ অনুযায়ী, ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার শিশুদের নাম হবে ছং বা পোক। কোরিয় ভাষায় এই দুই শব্দের অর্থ আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। দীর্ঘদিন ধরেই কোরিয় উপদ্বীপে রি বা সুমি-র মতো নাম রাখার প্রচলন রয়েছে। এই দুই শব্দের আভিধানিক অর্থ হল প্রেমময় ও খুব সুন্দর। কিমের অফিস জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের 'কোমল ধর্মী' নাম আর কখনই রাখা ¤ যাবে না উত্তর কোরিয়ায়। শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের নাম পরিবর্তনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সূত্রে খবর, দেশের সমস্ত নাগরিকের নামের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন কিম।
5
IMG_20221226_0005.jpg
u004
25
M
Student
News - Politics
807
https://eisamay.com/world/kim-jong-un-supreme-leader-of-north-korea-has-ordered-people-to-change-their-name-within-december/articleshow/95959995.cms
true
false
false
IIT Delhi Placements 2022 : প্রথম দিনেই 1 কোটি টাকা বেতনের চাকরির প্রস্তাব পেল আইআইটি দিল্লি। সম্প্রতি 2022-23 শিক্ষাবর্ষের প্লেসমেন্ট শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে। আইআইটি দিল্লিতেও 1 ডিসেম্বর থেকে সেই প্লেসমেন্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেখানেই প্রথম দিনের শেষে ¤ ছাত্রছাত্রীদের 1 কোটি টাকার বেশি বেতনের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনের ক্যাম্পাসিং-এ 650টি পূর্ণ সময়ের চাকরির অফার এসেছে। যেখানে 250 টিরও বেশি প্রি-প্লেসমেন্ট অফার অর্থৎ PPO সহ ছাত্রছাত্রীদের 550 টি অন্য ধরনের চাকরি নির্বাচনের সুযোগও ছিল।
6
IMG_20221226_0006.jpg
u005
26
M
Student
News - Education
529
https://eisamay.com/education-news/iit-delhi-placement-650-offers-made-students-got-1-crore-paying-job/articleshow/95982528.cms
true
true
false
এবার মাধ্যমিকে না থাকলেও একাদশ শ্রেণীতে পড়া যাবে বৃত্তিশিক্ষার বিষয়। ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক স্তরে ভোকেশনাল কিংবা বৃত্তিশিক্ষার বিষয় না থাকলেও সরাসরি একাদশ শ্রেণীতে পড়তে পারবেন। এমনটাই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাটি কার্যকর করা হবে। সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে এই সংক্রান্ত একটি ¤ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ¤ হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে এবার থেকে একাদশ শ্রেণীতেও ভোকেশনাল বিষয় নিয়ে পড়া যাবে। যার জন্য মাধ্যমিকে সেই ভোকেশনাল বিষয়ে থাকা আর বাঞ্ছনীয় নয়। ২০২৩ থেকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব তাপস মুখোপাধ্যায়।
7
IMG_20221226_0007.jpg
u006
27
F
Student
News - Education
666
https://eisamay.com/education-news/higher-secondary-students-can-now-choose-vocational-subject/articleshow/95915056.cms
true
false
false
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি গায়ক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যদিও পরিবার সূত্রে খবর, উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। আগের থেকে সুস্থ রয়েছেন তিনি। আগামীকাল তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে। অসুস্থ গায়ক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ভর্তি রয়েছেন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর রানাঘাটে 'বাংলা মোদের গর্ব'-এ উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি অংশ নিতে পারছেন না এই অনুষ্ঠানে, এমনটাই জানানো হয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পক্ষ থেকে। তাঁর পরিবর্তে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শিল্পী অরিজিৎ চক্রবর্তী। পরিবার সূত্রে খবর, 'ফুড পয়জনিং' এর জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁকে রবি ঠাকুর মোড়ের কাছে একটি বেসকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ¤ ভক্তদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। সুস্থ আছেন গায়ক এবং আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে হাসপাতালের তরফে, জানা গিয়েছে এমনটাই।
8
IMG_20221226_0008.jpg
u007
26
F
Student
News - Entertainment
788
https://eisamay.com/entertainment/cinema/singer-surojit-chatterjee-is-ill-admitted-in-hospital/articleshow/95982367.cms
true
false
false
এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং। তাঁর 'কেশরিয়া'র সুরে মাতাল গোটা দেশ। তবে গায়ক অরিজিৎ-এর আরেক পরিচয় তিনি সমাজসেবক। সাধারণ ¤ মানুষের আপদে বিপদে পাশে দাঁড়ান তিনি। আর এই সেবার লক্ষ্যে ব্রতী হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে তাঁর আদর্শ। মুম্বই কনসার্টে অরিজিৎ সিং জানিয়েছেন, তিনি স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ মেনে চলেন। নিজের জীবন একটু গুছিয়ে নিয়ে অন্যকে সাহায্য করা মানবতা, বার্তা গায়কের। তিনি বলেন, "আমি বরাবর স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছি।" সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী ¤ সংস্থাও খুলেছেন।
9
IMG_20221226_0009.jpg
u008
24
M
Student
News - Entertainment
531
https://eisamay.com/entertainment/cinema/arijit-singh-says-he-follows-swami-vivekananda-ideology/articleshow/95944723.cms
true
false
false
একদিকে পেশায় ডাক্তার। আবার অন্যদিকে প্রথম বার UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেই দুর্দান্ত ফলাফল। তাও আবার কোনও কোচিং ছাড়াই। UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় এহেন ফলাফলের নিদর্শন রেখেছেন বারাণসীর আরতিকা শুক্লা। কোনও কোচিং ছাড়াই তিনি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় ৪র্থ rank অর্জন করেছেন। আরতিকা শুক্লা বর্তমানে আজমেরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত রয়েছেন। ডাক্তারি পড়তে শুরু করলেও IAS স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য মাঝপথেই এমডি কোর্স ছেড়ে দেন আরতিকা শুক্লা। 1990 সালের 5 সেপ্টেম্বর জন্ম হয় আরতিকার। ছোটবেলা থেকেই তিনি পড়াশুনায় উজ্জ্বল ছাত্রী ছিলেন। বারাণসীর সেন্ট জনস স্কুল থেকে স্কুলের শিক্ষা শেষ করেন বছর 32-এর ইউপিএসসি কৃতী।
10
IMG_20221226_0010.jpg
u009
28
M
Student
News - Education
615
https://eisamay.com/education-news/artika-sukla-sucured-4th-rank-in-upsc-without-coaching/articleshow/95834530.cms
false
true
false
একুশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবীটাই এখন হাতের মুঠোয় বন্দি। ৮ থেকে ৮০, সকলেই এখন স্মার্টফোনের উপর নির্ভরশীল। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির মধ্যে অন্যতম হলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে মানুষ আসলেই আনস্মার্ট হয়ে পড়ছে। কারও ক্ষেত্রে তা রীতিমতো নেশার বস্তু হয়ে পড়েছে। অনেকেই হয়তো চেষ্টা করেন সেই নেশা থেকে বেরতে। কিন্তু স্মার্টফোনে আসা নিত্য নতুন খবর চোখ অন্য দিকে সরতে দেয় না। বেশিরভাগ স্মার্টফোন হাত থেকে পড়ে গেলে উপরের কাচের ডিসপ্লেটি ভেঙে যায়। কিন্তু ডাম্বফোনের ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা নেই। নতুন ধরনের স্মার্টফোনগুলি থেকে যখন ইচ্ছা ব্যাটারি বা সিমকার্ড খুলে ফেলা যায় না। সিমকার্ড বার করতে গেলে সঙ্গে সরু মুখের পিন রাখতে হয়। কিন্তু ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে তা হয় না। স্মার্টফোনের থেকে ফিচার ফোনের ব্যাটারি লাইফ ভাল। এক বার চার্জ দিলেই চলবে টানা এক সপ্তাহ।
11
IMG_20221226_0011.jpg
u010
25
M
Student
News - Tech
773
https://www-anandabazar-com.cdn.ampproject.org/v/s/www.anandabazar.com/amp/lifestyle/dumb-phone-vs-smart-phone-which-one-is-better-now-a-days-dgtl/cid/1387832?amp_gsa=1&amp_js_v=a9&usqp=mq331AQIKAGwASCAAgM%3D#amp_tf=From%20%251%24s&aoh=16703007772974&csi=0&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&ampshare=https%3A%2F%2Fwww.anandabazar.com%2Flifestyle%2Fdumb-phone-vs-smart-phone-which-one-is-better-now-a-days-dgtl%2Fcid%2F1387832
false
false
false
স্নাতকোত্তরের মতো কলেজ এ বার স্নাতকেও নতুন বিষয় খোলার ক্ষেত্রে সেল্ফ ফিনান্সিং কোর্সে অগ্রাধিকার দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে নতুন কোর্স চালুর আবেদন বদল এনেছে রাজ্য। সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত কোনও কলেজ সেল্ফ ফিনান্সিং কোর্স চালু করতে চাইলে লিখিত ভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে বেতন, পরিকাঠামো ইত্যাদি কোনও বিষয়েই রাজ্যের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইতে পারবে না তারা। কলেজ এই সব শর্ত পূরণ করলে তবেই মিলবে সম্মতি। নতুন পদ্ধতিতে সরকারি কলেজে নয়া কোর্স খোলায় উচ্চশিক্ষা অধিকর্তার (ডিপিআই) আর কোনও ভূমিকা থাকবে না। তিনি কেবল উচ্চশিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যানের (শিক্ষা) নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের কমিটিতে প্রতিনিধি পাঠাবেন। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সরকারি কলেজে নতুন কোর্স চালু করতে হলে ডিপিআইয়ের পাশাপাশি সংসদের কাছেও আবেদন জানাতে হতো। কিন্তু এবার ডিপিআইয়ের পর আর ভূমিকা থাকছে না। নতুন বিষয় খুলতে চাইলে সংসদের সদস্য সচিবের কাছে আবেদন জানাতে হবে সরকারি কলেজকে। তারপর সংসদের ভাইস- চেয়ারম্যানের (শিক্ষা) নেতৃত্বাধীন কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখে উচ্চ-শিক্ষা দপ্তরের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। আবার, সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে নতুন বিষয় খোলার জন্য এতদিন উচ্চশিক্ষা সংসদে আবেদন জানাতে হতো। আর নো-অবজেকশন দিলে বিষয়টি যেত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। এখন থেকে সংসদ তা খতিয়ে দেখে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠাবে। সেল্ফ ফিনান্সিং হলে রাজ্য এ ব্যাপারে অনুমোদন দেবে। অন্য ক্ষেত্রে অর্থ দপ্তরের অনুমোদন লাগবে।
12
IMG_20221226_0012.jpg
u011
26
M
Student
News - Education
1,307
https://eisamay.com/education-news/higher-education-department-is-going-to-start-self-financing-course-in-colleges/articleshow/96019260.cms
false
false
false
সম্প্রতি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একগুচ্ছ নয়া প্ল্যান লঞ্চ করেছে Airtel। World Pass প্যাকের মাধ্যমে বিশ্বের 184টি দেশে কোন ঝামেলা ছাড়াই ঘুরতে যেতে পারেন Airtel গ্রাহকরা। Airtel World Pass এর দাম শুরু হচ্ছে 649 টাকা থেকে। প্রিপেড ও পোস্টপেড গ্রাহকদের জন্য আলাদা আলাদা প্ল্যান নিয়ে এসেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম নেটওয়ার্ক। 14,999 টাকা পর্যন্ত এই প্ল্যানগুলিতে বিদেশ ভ্রমণ আরও সহজ হবে। Airtel জানিয়েছে এই প্ল্যান ওয়ার্ল্ড প্লাস প্ল্যান রিচার্জ থাকলে আর সব দেশের জন্য আলাদা আলাদা রিচার্জ করতে হবে না। বিমান বদলের জন্য কোনও দেশের এয়ারপোর্টে সময় কাটানোর সময়ও এই প্ল্যান কাজ করবে। এছাড়াও বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে 24X7 কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে পারবেন এয়ারটেল গ্রাহকরা। এক বিবৃতিতে এয়ারটেল জনি-য়েছে, বিদেশ যাত্রীদের জন্য 99100-99100 কাস্টমার কেয়ার নাম্বার শুরু করা হয়েছে। এই নাম্বারে ফোন করে বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে সমস্যার সমাধান পাবেন Airtel গ্রাহকরা। আপৎকালীন ব্যাবহারের জন্য Airtel গ্রাহকরা ¤ পাবেন আনলিমিটেড ডেটা। এছাড়াও ভয়েস কলের খরচ 90 শতাংশ কমানো হয়েছে।
13
IMG_20221226_0013.jpg
u001
27
F
Student
News - Tech
986
https://eisamay.com/tech/news/airtel-world-pass-plans-launched-for-data-roaming-in-184-countries/articleshow/96047612.cms
true
true
false
বাজেট সেগমেন্টে চিনা স্মার্টফোন কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় একের পর এক নতুন মডেল বাজারে এসেছে Motorola। এবার কোম্পানির জনপ্রিয় G সিরিজে ফের নতুন ফোন লঞ্চ করতে চলেছে সংস্থাটি।সব ঠিক থাকলে তাড়াতাড়ি ভারতে লঞ্চ হতে পারে Moto G13। BIS সার্টিফিকেশ ওয়েবসাইটে সম্প্রতি রি ডিভাইসের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। প্রসঙ্গত ভারতে যে কোনও মোবাইল লঞ্চের আগেই BIS সার্টিফিকেশন পাওয়া বাধ্যতামূলক তাই এখন Moto G13 লঞ্চ সময়ের অপেক্ষা বলে মত টেক মহলে। সম্প্রতি জনপ্রিয় টিপস্টার মুকুল শর্মা টুইটারে জানিয়েছেন, BIS ওয়েবসাইটে Motorola Moto G13 ফোনটি দেখা গিয়েছে। সেখানে Motorola XT2231-3 মডেল নম্বরে এই ফোন বিভিন্ন স্পেসিফিকেশন সামনে এসেছে। এছাড়াও থাইল্যান্ডের সার্টিফিকেশন ওয়েবসাইট NBTC - তেও এই ফোনের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে এই ফোন লঞ্চ করতে পারে Motorola। সস্তায় 4G কানেক্টিভিটি সহ এই ফোন লঞ্চ হবে ভারতে। 15,000 টাকার কম বাজেটে ভারতে লঞ্চ হতে পারে Motorola Moto G13। 4G কানেক্টিভিটি সহ Motorola Moto G13 - তে থাকবে 90 Hz AMOLED ডিসপ্লে। যদিও এই ফোনে 5G কানেক্টিভিটি দেয়নি। Motorola। এই ফোন MediaTek Helio G99 অথবা Snapdragon 732G চিপসেট থাকতে পারে। শীঘ্রই একই দামে Redmi Note 12 Pro 4G বাজারে আসতে পারে। সেই ফোনেও একই চিপসেট দেখা যেতে পারে।
14
IMG_20221226_0014.jpg
u012
19
F
Student
News - Tech
1,147
https://eisamay.com/tech/news/motorola-moto-g13-spotted-on-bis-website-features-specification-leaked/articleshow/96024731.cms
false
true
false
বর্তমানে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ অত্যন্ত সহজ হয়ে গিয়েছে। একাধিক সংস্থার হাত ধরে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা বাড়িতে বসেই সম্ভব। মাত্র কয়েক মিনিটেই এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। যারা শেয়ার বাজারে সম্প্রতি বিনিয়োগ করছেন, তাঁদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর। বাজার বিশেষজ্ঞরা একটি শেয়ারের সম্পর্কে দারুণ আশাবাদী। বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকারীদের এই শেয়ার কিনতে উৎসাহ দিচ্ছেন। এখানে বলা হচ্ছে, ICICI Bank -এর স্টকের কথা। জেফরি থেকে ¤ শুরু করে মরগান স্ট্যানলি অনেকেই এই শেয়ারের প্রতি আস্থা দেখাচ্ছে। বেশিরভাগ বাজার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে যদি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার থাকে, তবে তা একটি লাভজনক চুক্তি বলে গণ্য হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের ঝুলিতে এই অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদেরকে স্টকটিকে ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। সোমবার সপ্তাহের প্রথম ব্যবসায়িক দিনে ICICI ব্যাঙ্কের শেয়ার 0.35 শতাংশ বেড়ে হয়েছে 933.90 টাকায়। 933.90 টাকায় সর্বোচ্চ রেকর্ড রয়েছে 958 টাকা। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এই স্টকটি শীঘ্রই আগের রেকর্ড অতিক্রম করবে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার। বুলিশ ব্রোকারেজ এই স্টকটিকে বাই রেটিং দিয়েছে।
15
IMG_20221226_0015.jpg
u013
27
M
Student
News - Business
1,020
https://eisamay.com/business/share-market/icici-bank-stock-can-deliver-more-gain-check-share-target/articleshow/96034801.cms
false
true
false
জনপ্রিয় গায়ক লাকি আলির ¤ সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা চলছে! সোশাল মিডিয়ায় এমন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সংগীত শিল্পী। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি দুবাইয়ে আছেন। আর সেই কারণেই উদ্বেগ অনেকটা বেশি। লাকির অভিযোগ, বেঙ্গালুরুর দুই ল্যান্ড মাফিয়া তাঁর কাঞ্চনাহাল্লি এলাকার জমি দখল করার চেষ্টা করছে। অথচ ওই জমি তাঁর গচ্ছিত সম্পত্তি। সরাসরি জনৈক সুধীর এবং মধু রেড্ডির নাম নিয়ে ওই অভিযোগ করেছেন গায়ক। তাঁর কথায়, "আমার নাম ¤ মকসুদ মেহমুদ আলি। আমার বাবা কিংবদন্তী অভিনেতা এবং কৌতুকশিল্পী মেহমুদ আলি। আমাকে লোকে লাকি আলি নামেও চেনে। কর্নাটকের ইয়েলেহাঙ্কা এলাকায় আমার ফার্ম রয়েছে। যার বেশ কিছুটা অংশ জবরদখল করার চেষ্টা করেছেন সুধীর রেড্ডি এবং মধু রেড্ডি। এঁরা বেঙ্গালুরুর ল্যান্ড মাফিয়া।" লাকির সংযোজন, "এঁদের মধ্যে একজনের স্ত্রী IAS অফিসার। তাঁর নাম রোহিনী সিন্ধুরী। ¤ উনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বামীকে এই কাজে সাহায্য করছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য রাজ্যের সম্পদ ধ্বংস করছেন তিনি। জোর করে আমার ফার্মের ভিতর ঢুকে পড়ছেন তাঁরা। এটা বেআইনি। কারণ, তাঁদের কাছে কোনও ¤ নথি নেই।" তিনি আরও বলেন, "আমার আইনজীবীরা জানিয়েছেন এই বিষয়টি বেআইনি। এই ফার্মে ঢুকে পড়ার জন্য কোর্টের আদেশনামার প্রয়োজন। যা তাঁদের কাছে নেই। আমরা ৫০ বছর ধরে ওখানে থাকি। আমাদের কাছেই ¤ এই সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে।"
16
IMG_20221226_0016.jpg
u002
26
F
Student
News - Business
1,183
https://eisamay.com/business/business-news/the-central-bank-governor-may-get-six-year-term-as-per-the-report-of-parliamentary-standing-committee-details-here/articleshow/96026927.cms
true
true
false
পশ্চিমী দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা ফুৎকারে উড়িয়ে রাশিয়া-ভারতের তেল সরবরাহের সম্পর্ক অটুট রইল। পরপর টানা 2 মাস ভারতকে তেল সরবরাহের নিরিখে শীর্ষস্থান নিজেদের দখলে রাখল রাশিয়া। এতদিন ভারত সবথেকে বেশি পরিমাণ তেল আমদানি করত ইরাকের থেকে, তারপরেই ছিল সৌদি আরব। কিন্তু গত অক্টোবর-নভেম্বর, এই 2 মাসে রাশিয়া থেকে সবথেকে বেশি পরিমাণ তেল আমদানি করেছে ভারত। কার্গো ট্র্যাকার 'ভর্টেক্সা'-র তথ্য এমনটাই জানাচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে রাশিয়া থেকে ভারত অপরিশোধিত তেলের দৈনিক 909400 ব্যারেল আমদানি করেছে। 'ভর্টেক্সা'-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যা আমদানি করা মোট তেলের পরিমাণের 21%। ওই মাসে ভারতের আমদানিকৃত তেলের দৈনিক পরিমাণ মোট 4.29 মিলিয়ন ব্যারেল। আবার অক্টোবর মাসে রাশিয়া থেকে ভারতে দৈনিক অপরিশোধিত তেল এসেছে দৈনিক 902740 ব্যারেল। যা অন্য সমস্ত দেশের তুলনায় সবথেকে বেশি। এর পাশাপাশি আরেকটি তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। তা হল সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, নাইজেরিয়া ও অ্যাঙ্গোলা থেকে আমদানিকৃত তেলের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে, সেখানে নভেম্বরে কানাডা ও আমেরিকা থেকে আমদানি করা তেলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
17
IMG_20221226_0017.jpg
u012
19
F
Student
News - Business
974
https://eisamay.com/business/business-news/russia-remained-the-top-oil-supplier-to-india-in-november-ahead-of-iraq-and-saudi-arabia-know-details/articleshow/96023088.cms
false
true
false
শুরু হচ্ছে ভারত বনাম বাংলাদেশ দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে ভারত ১ উইকেটে হেরে গিয়েছিল। তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেট দল ইতিমধ্যেই ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে। সেকারণেই বুধবারের ম্যাচটা যে কোনও মূল্যে রোহিতদের জিততেই হবে। নাহলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যাবে। যদি এই ম্যাচের উইকেটের দিকে তাকানো যায়, তাহলে চোখ বন্ধ করেই বলা যাবে যে স্পিনাররা যথেষ্ট সাহায্য পাবেন। প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। মীরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক হয়। আজ মীরপুরে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও, আপাতত সেটা একেবারেই কেটে গিয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খেল টিম ইন্ডিয়া। কারণ, ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মহম্মদ সিরাজের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে যখন তিনি ক্যাচ ধরার চেষ্টা করছিলেন, সেইসময়ই চোট পান তিনি। ইতিমধ্যেই রোহিত মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। পরিবর্ত ফিল্ডার নিয়ে আসা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন মহম্মদ সিরাজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এনামুল হক মাত্র ১১ রান করে আউট হয়ে গেলেন। সিরাজ তাকে LBW আউট করলেন। ২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১-১।
18
IMG_20230101_0008.jpg
u035
47
F
Teacher
News - Sports
1,031
https://eisamay.com/sports/cricket/news/india-vs-bangladesh-live-score-match-cricket-score-highlights-playing-11-ball-by-ball-commentary-sher-e-bangla-stadium-in-mirpur/liveblog/96047930.cms
false
true
false
বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব চলছে। এবার যেমন একাধিক বড় দল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে, তেমনই অনেক দল প্রত্যাশার ঊর্ধ্বে উঠে দাপট দেখিয়েছে। সেইরকমই বিশ্বকাপে এমন কিছু প্লেয়ার আছেন যারা এবার গোল্ডেন বুট জয়ের অন্যতম দাবিদার। তালিকায় সবার উপরে আছেন কিলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্সের এই ২৩ বছর বয়সি স্ট্রাইকার ৪টে ম্যাচে ৫টা গোল করেছেন। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালের আগে পর্যন্ত সবথেকে বেশি গোল করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি একটি এবং ডেনমার্ক ও পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি করে গোল করেন। ফলে গোল করে তিনি এখন চর্চায়। সম্প্রতি পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটো গোল করেও তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। তাঁর নীতির জন্য জরিমানা করেছে FIFA। স্পনসর মদ প্রস্তুতকারী সংস্থা বাডওয়াইজারের নাম তিনি ঢেকে ছবি তুলেছেন আর সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেননি। এতেই তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়েছে FIFA। যদিও নিজের বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করে এসবে নজর দিতে রাজি নন তিনি। তাঁর পাশে থেকেছে ফ্রান্স ফুটবল দলও। কোয়ার্টারফাইনালে ফ্রান্স মুখোমুখি ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার আর্জেন্তিনা। আর দলের প্রধান স্তম্ভ লিওনেল মেসি। তিনি সোনার বুটের দৌড়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। চার ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন তিনটে গোল। সৌদি আরব, মেক্সিকো ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোল করেছেন। কোয়ার্টারফাইনালে আর্জেন্তিনা মুখোমুখি নেদারল্য়ান্ডের।
19
IMG_20230101_0010.jpg
u014
23
F
Student
News - Sports
1,141
https://eisamay.com/sports/football/fifa-world-cup/photos/in-fifa-world-cup-qatar-2022-who-could-win-golden-boot-here-is-the-possible-list/photoshow/96038667.cms
false
true
false
সুইৎজারল্য়ান্ডকে উড়িয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেল পর্তুগাল। ৬-১ গোলে শাকিরিদের পরাস্ত করল পর্তুগাল। ম্যাচের নায়ক গনসালো রামোস (Goncalo Ramos), কাতার বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। এই ম্যাচে রোনাল্ডোর পরিবর্তনে নেমেছিলেন রামোস আর নেমেই প্রমাণ করলেন নিজেকে। তিনটে গোল করলেন। পরে তাঁরে তুলে রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo) নামানো হল। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডোকে দ্বিতীয়ার্ধে তুলে নিয়েছিলেন স্যান্টোস। কোচের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি পর্তুগিজ সুপারস্টার। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কোচের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকার অঙ্গভঙ্গি করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তারই খেসারত দিতে হল রোনাল্ডোকে। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি। রোনাল্ডোকে ছাড়াই কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল পর্তুগাল। সুইৎজারল্যান্ডকে ৬-১ ব্যবধানে উড়িয়ে শেষ আটে মরক্কোর মুখোমুখি পর্তুগিজরা। রোনাল্ডোর সামনেই কাতার বিশ্বকাপে জন্ম নিল ¤ পর্তুগালের নতুন নায়ক গনসালো রামোস। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করে ইতিহাসে নাম লেখালেন। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর পরিবর্তে ২১ বছর বয়সি তরুণ স্ট্রাইকার গনসালো রামোসের ওপর ভরসা করেছিলেন পর্তুগাল কোচ স্যান্টোস। তাঁকে হতাশ করেননি দলের এই তরুণ ফুটবলার। ম্যাচের ¤ শুরু থেকেই পর্তুগালের দাপট। ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় পোর্তুগাল। থ্রো-ইন থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে গনসালো রামোসকে পাস বাড়ান জোয়াও ফেলিক্স। বাঁপায়ের দুরন্ত শটে সুইস গোলকিপার সমারকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান রামোস।
20
IMG_20230101_0009.jpg
u014
23
F
Student
News - Sports
1,343
https://eisamay.com/sports/football/fifa-world-cup/news/portugal-beat-switzerland-by-6-1-goal-and-goncalo-ramos-scores-hattrick-in-fifa-world-cup-qatar-2022-pre-quarter-final-match/articleshow/96038757.cms
true
true
false
বিমানে ওঠার পর থেকে ¤ যাত্রীদের বিভিন্নভাবে বিমান সেবিকারা সাহায্য করে থাকেন। আবার খাবার থেকে শৌচাগার সহ বিমানের যাবতীয় কোনও অভিযোগও বিমানসেবিকাকেই শুনতে হয়। কিন্তু সাধারণত যাত্রীদের হাজার রকমের খেয়ালিপনার সহ্য করেও বিমানসেবিকারা মেজাজ হারান না। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিমানসেবিকার এক যাত্রীর সঙ্গে তুমুর বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার ভিডিয়ো সামনে এসেছে। খানিক শুনতে অস্বাভাবিক লাগলেও এমনই এক দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে ইস্তাম্বুল থেকে দিল্লিগামী এক ইন্ডিগোর বিমানে। সম্প্রতি ইন্ডিগোর ওই বিমানের ¤ একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। Tarun Shukla নামে এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, এক যাত্রী খারাপ খাবার পাওয়ার অভিযাগে বিমানসেবিকার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। ¤ আসলে বিমানে নিজের পছন্দের খাবার না পেয়েই বেজায় চটে যান ওই যাত্রী। ফলে রীতিমতো খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন বিমানসেবিকার সঙ্গে। আসলে ঘটনাটির সূত্রপাত খাবার কেন্দ্র করে হলেও তা ধীরে ধীরে যথেষ্ট বিতর্কের দিকে মোড় নেয়। এমনকী সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, এক যাত্রীর খারাপ ব্যবহারের জন্য এক বিমানসেবিকা কেঁদে দিয়েছেন। আর সহকর্মীর পাশে দাঁড়াতেই আরেক বিমানসেবিকা ওই যাত্রীকে তাঁর খারাপ ব্যবহারের জন্য দোষারোপ করেন।
21
IMG_20221226_0018.jpg
u015
56
M
Service - Government Sector
News - Others
1,135
https://eisamay.com/viral/indigo-crew-and-passenger-fight-mid-flight-video-goes-viral/articleshow/96432581.cms
false
true
false
অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে বাংলার রেলভ্রমণপ্রিয় মানুষদের। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই চালু হচ্ছে হাওড়া-NJP বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিষেবা। ট্রেনটি ইতিমধ্যেই হাওড়া থেকে ছাড়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নিয়েছে রেলওয়ে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী এই সময় ডিজিটালকে জানিয়েছেন, "প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে পারলে 30 ডিসেম্বরেই হাওড়া থেকে চালু হবে হাওড়া-NJP বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি।" সূত্রের খবর অনুযায়ী, PMO -র তরফে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন বছরের আগেই বড় উপহার পূর্ব রেলের তরফে পেতে পারে সাধারণ মানুষ। বন্দে ভারতকে দেশের অন্যতম প্রিমিয়াম ট্রেন বললেও অত্যুক্তি করা হয় না। ট্রেনে থাকছে হাতলযুক্ত চেয়ার। পাশাপাশি বিমান ও প্রতিটি প্রিমিয়াম ট্রেনের মতোই সিটের পিছন দিকে থাকছে নেটের ব্যাগ ও পিছনের ব্যক্তির খাওয়ার সুবিধা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সিটের গদিও আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে যাত্রীদেরকে। পাশাপাশি থাকছেন ট্রেন সেবিকারাও। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্যান্টিকারেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ঝাঁ চকচকে প্যান্ট্রি থেকে যাত্রীদের কোচে যাওয়ার জন্য রয়েছে কাঁচের দরজা। বন্দে ভারতের প্যান্ট্রিকারে লেগেছে মডিউলার কিচেনের ছোঁয়া। প্যান্ট্রিকারে থাকছে CCTV-ও। ফলে যাত্রীরা আরও সুবিধা পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।
22
IMG_20221226_0019.jpg
u016
51
M
Business Owner
News - Business
1,143
https://eisamay.com/business/business-news/eastern-railway-to-run-howrah-njp-vande-bharat-express-check-time-table-and-train-image/articleshow/96448968.cms?story=2
false
true
false
36 বছর পর তৃতীয়বারের জন্য ফুটবলে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্তিনা। তাঁদের অধিনায়ক লিওনেল মেসির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্তিনা। স্বপ্ন সত্যি হয়েছে মেসির। তাঁর এই জয় নিয়ে গোটা বিশ্বেই রয়েছে উন্মাদনার পরিবেশ। এমনকি আর্জেন্তিনা শিবির যখন কাপ জিতে কাতার থেকে আর্জেন্তিনায় যায়, তখন প্রবল জনোচ্ছ্বাসের কারণে মেসিদের টিমবাস আটকে যায়। হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করতে হয় মেসিকে। সব মিলিয়ে আর্জেন্তিনায় এখন চলছে লিও বন্দনা। এমন পরিস্থিতিতে আরও একধাপ এগিয়ে এবার আর্জেন্তিনার নোটে মেসির ছবি বসানোর প্রস্তাব দিল আর্জেন্তেনিয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আর্জেন্তিনার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সে দেশের নোটে লিওনেল মেসির ছবি ও উলটোদিকে টিমের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। জানা গিয়েছে, আর্জেন্তিনার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফুটবল টিমের জয় উপলক্ষে একটি বৈঠক করে, সেই বৈঠকেই এমন প্রস্তাব উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, 1978 সালে যখন আর্জেন্তিনা প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতে, সেসময়ও স্মারক মুদ্রাও জারি করেছিল আর্জেন্তিনার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট আবার দাবি করেছে, নিছক মজা করেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে বসেছেন। অন্যদিকে মেসি ভক্তদের কাছে এরচেয়ে সুংসবাদ আর নেই। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসির নোটের ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে 1000 পেসোর নোটের ছবি। বলা হচ্ছে, এই নোটের একদিকে থাকবে মেসির ছবি, অন্যদিকে নোটের উলটো দিকে থাকবে টিমের ছবি।
23
IMG_20221226_0020.jpg
u017
47
M
Service - Government Sector
News - Business
1,303
https://eisamay.com/business/business-news/lionel-messi-face-image-may-put-on-argentina-banknotes-check-details/articleshow/96430566.cms
false
true
false
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সিভিল সার্ভিস মেইন পরীক্ষার ফলাফল। গত 6 ডিসেম্বর CSE মেইন ফলাফল 2022 ঘোষণা করে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)। আর ফলাফল ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তুলেছে আবেদনকারীরা। আসলে UPSC হল কেন্দ্রীয় সরকারে অধীনে থাকা একটি সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী নিয়োগ করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা নিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি। যার মধ্যে একটি পরীক্ষা হল UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। আর প্রত্যেক বছরই সারা দেশ জুড়ে অগুনতি ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষায় বসেন। আর দেশের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে যে সঠিক প্রস্তুতির প্রয়োজন, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু, গত দুবছর কোভিড আবহে আর সব কিছুর মতোই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে এবছর যেসকল ছাত্রছাত্রী পাশ করতে পারেননি, তারাই কার্যত রাস্তায় প্রতিবাদে নেমেছেন। সেক্ষেত্রের প্রস্তুতির খামতি এবং কোভিড আবহে পরীক্ষা দিতে না পারায় বয়সের ছাড় দেওয়া সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদে নেমেছেন আবেদনকারীরা। এমনকী, দিল্লির রাস্তায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।
24
IMG_20221226_0021.jpg
u018
37
F
Teacher
News - Education
1,017
https://eisamay.com/education-news/civil-aspirants-demand-extra-attempt-due-to-covid19-stage-protest-in-delhi/articleshow/96404899.cms?story=1
false
true
false
ইতিহাস মানেই বোরিং। শুধুই মুখস্ত বিদ্যা। অনেকটা লেখা আর একেবারে কম নম্বর। ইতিহাস মানেই সকলের মনে এই ধারণাই রয়েছে। কিন্তু ইতিহাস¤ও অন্যান্য বিষয়ের মতো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে যদি ইতিহাসকেই সঠিকভাবে পড়া যায় । ইতিহাসে রয়েছে অনেক অজানা তথ্য জানার সুযোগ। ¤ এমনকি রয়েছে একাধিক আকর্ষণীয় কেরিয়ার গড়ার সুযোগও। তাহলে ইতিহাস নিয়ে পড়লে ঠিক কোন কোন কেরিয়ারের দিশা দেখতে পাবেন জেনে নিন। আর্কিভিস্টদের সরকারি এজেন্সির আর্কাইভাল ইউনিট, স্থানীয় সরকারী, কমার্শিয়াল সংস্থা, হাসপাতাল, মিউজিয়াম, লাইব্রেরি এবং শিখা প্রতিষ্ঠানে বিবিধ কাজের সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ইতিহাস নিয়ে পড়ার পর লাইব্রেরি সায়েন্স, হিউম্যানিটি, সোশ্যাল সায়েন্সে স্নাতকোত্তর করলেও আপনি এই পেশায় আসতে পারেন। আপনার যদি ঐতিহাসিক জিনিসপত্র সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে কেরিয়ার হিসাবে মিউজিয়ামের সমস্ত বিষয়ই নিয়েই কাজ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পেশায় আসতে হলে ইতিহাস নিয়ে স্নাতক পড়ার পর মিউসিওলজিতে মাস্টার্স এবং মিউসিওলজি এবং হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ান আর্টসে ডিপ্লামা করতে পারেন। মিউজিওলজিস্ট হিসাবে আপনার সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই কাজের সুযোগ আছে। মিউজিয়াম ডিরেক্টর, গ্যালারি অ্যাসিসট্যান্ট, ডিজাইন কলসালট্যান্ট, এবং বিভিন্ন মিউজিয়ামে এবং আর্ট গ্যালারিতে কাজ করতে পারেন।
25
IMG_20221226_0022.jpg
u019
43
M
Business Owner
News - Education
1,140
https://eisamay.com/education-news/interesting-career-options-if-you-have-history-degree/articleshow/96284084.cms
true
false
false
টেস্টের পরেও আবার টেস্ট! মাধ্যমিকে দু'মাস আর উচ্চমাধ্যমিকে তিন মাস পরই ফাইনাল পরীক্ষা। আগামী বছরের সেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ঘাটতি-খামতি পূরণে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা¤য় বহু স্কুল টেস্ট হয়ে যাওয়ার পরেও টেস্ট নিতে উদ্যোগী হয়েছে। কোভিডের জেরে স্কুল বন্ধে পড়াশোনার মান খারাপ হওয়ায় আশঙ্কা অনেকাংশেই সত্যি প্রমাণ হয়েছে বিভিন্ন ¤স্কুলে সদ্য শেষ হওয়া মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমি-কের টেস্টে। সে জন্যেই এই উদ্যোগ। একই কারণে সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং পোষিত স্কুলের তৃতীয়, পঞ্চম, অষ্টম এবং দশম শ্রেণির ¤ পড়ুয়াদের জন্যে 'স্যাস'-এরও আয়োজন করেছিল রাজ্য। দু'শো বছরে পা দিতে চলা সংস্কৃত ¤কলেজিয়েট স্কুল নির্ধারিত সময়ে হওয়া টেস্টের প্রশ্নপত্রেই আরও এক বার টেস্ট নিতে চলেছে। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয় প্রথম দফার টেস্টের খাতা পরীক্ষার্থীদের দেখানো হয়েছে। তাতে কোথায় ভূল ভ্রান্তি রয়েছে, সে ব্যাপারে শিক্ষকরা পড়ুয়াদের বিশদে অবগত ¤করেছেন। তারপর মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রি-টেস্ট শুরু হবে। রি-টেস্টে বসার বিষয়টি অবশ্য পড়ুয়াদের উপরেই নির্ভর করছে। শ্যামবাজারের পার্ক ইনস্টিটিউশন আবার সরাসরি ¤ রি-টেস্টের পথে না-¤হেঁটে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করে6ছে। তাতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ও আগ্রহ দেখে রি-টেস্টের সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল।
26
IMG_20221226_0023.jpg
u020
12
F
Student
News - Education
1,186
https://eisamay.com/education-news/many-schools-are-going-to-take-re-test-due-to-the-deficiency-madhyamik-and-higher-secondary-examinees/articleshow/96243782.cms
true
true
false
আপনি কি জেইই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন? তাহলে প্রতিবেদনটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ আগামী দিনে IIT-তে ভর্তিতে পরিবর্তন আসতে চলেছে। ভবিষ্যতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IITs) ভর্তির জন্য ক্লাস 12-এর ফলাফলের মানদণ্ড ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোভিড-19 মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে IIT-তে 12 শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার পারফরমেন্সের মানদণ্ড শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ভর্তির মাপকাঠিও শিথিল করা হয়েছিল এবং ভর্তির জন্য পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত, ভাষা এবং অন্যান্য বিষয়ে কেবলমাত্র পাস নম্বরের প্রয়োজন ছিল। যা জেইই (অ্যাডভান্সড) 2022 পর্যন্ত আরও দুই বছর জারি থাকবে। কোভিড -19-এর কারণে হওয়া লকডাউনের জন্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে। এরপরেই আইআইটি 2020 এবং 2021 সালের বোর্ড পরীক্ষায় প্রার্থীদের পারফরম্যান্সের বিষয়টিকে শিথিল করে। আসলে 2020 সালের আগে, JEE (অ্যাডভান্সড) তে যোগ্যতা পেতে গেলে প্রার্থীদের 12 শ্রেণীতে কমপক্ষে 75 শতাংশ নম্বর পেতে হত অথবা IIT-তে আসন নিশ্চিত করতে পরীক্ষার্থীদের বোর্ডের ফলাফলের শীর্ষ 20 শতাংশ পেতে হত। একইসঙ্গে আগে ¤ তফসিলি জাতি (SC) এবং তফসিলি উপজাতি (ST) প্রার্থীদের ন্যূনতম 65 শতাংশ নম্বর থাকতে হতে ¤ কিংবা শীর্ষ 20 শতাংশের চাহিদা পূরণ করতে হবে।
27
IMG_20221226_0024.jpg
u021
36
F
Housewife
News - Education
1,145
https://eisamay.com/education-news/jee-advanced-2023-iits-to-bring-back-class-12-marks-rule-for-admissions/articleshow/96091568.cms
true
true
false
অসুস্থ মা কিম ফার্নান্ডেজ। সেই কারণেই আদালতের কাছে বিদেশ সফর করার আবেদন করেছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। বৃহস্পতিবার অভিনেত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি ছিল আদালতে। এদিনও নির্দিষ্ট সময়ে কোর্টে পৌঁছে গিয়েছিলেন বলি অভিনেত্রী। তবে তাঁর আবেদন খারিজ করেছে দিল্লির পাতিয়ালা কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মুহূর্তে ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এখন অভিনেত্রীকে দেশ ছাড়ার অনুমতি কিছুতেই দেওয়া যাবে না। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী আদালতের তরফে বলা হয়েছে, "আপনি এই আবেদন প্রত্যাহার করে নিন। আগে ২০০ কোটির মামলার নিষ্পত্তি ঘটুক। যদি আপনি আবেদন না প্রত্যাহার করেন, তাহলে আমি নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।" পরবর্তীতে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে কথোপকথনের পর আবেদন প্রত্যাহার করে নেবেন জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার জ্যাকলিনের এই আবেদনের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতামত শুনেছিল দিল্লির ওই আদালত। ED-র তরফে জানানো হয়েছিল, "উনি বিদেশিনী। এই দেশের বাসিন্দা নন। বলিউডে উনি প্রচুর কাজ পাচ্ছেন এটা সঠিক। তবে উনি চাইলে অন্য কোনও দেশেও কেরিয়ার তৈরি করতে পারবেন।" স্বাভাবিকভাবেই জ্যাকলিনকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
28
IMG_20230101_0013.jpg
u022
21
M
Student
News - Entertainment
1,099
https://eisamay.com/entertainment/cinema/jacqueline-fernandez-seeks-permission-to-travel-abroad-delhi-court-rejects-plea/articleshow/96428685.cms
false
true
false
আবার যুদ্ধের আশঙ্কা? তাইওয়ান সমুদ্রে ফের সামরিক মহড়া। মহড়া দিচ্ছে চিনা যুদ্ধবিমান। এক চিন নীতিতে অনড় শি জিনপিং। কিছুমাস আগেই তাইওয়ানে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকারের সফর ঘিরে শুরু হয়েছিল দ্বৈরথ। বাইডেন ও জিনপিং বৈঠকের পরও কাটেনি জট। দু - পক্ষই অনড় নিজেদের অবস্থানে। তবে পালটা আক্রমণের জন্যই কি ফের সামরিক মহড়া? প্রশ্ন উঠছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চিনা সামরিক বাহিনীর ৩৯টি যুদ্ধবিমান ও তিনটি জাহাজ তাইওয়ানের উপকূল ভাগের দিকে ধেয়ে আসতে দেখা যায়। বুধ ও বৃহস্পতির সকালে এই যুদ্ধ বিমানগুলিকে তাইওয়ানের উপকূলভাগের আশপাশে ঘুরতে দেখা যায়। প্রাথমিক অনুমান, তাইওয়ানের উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিনা সামরিক বাহিনী। ধোঁয়াশা বাড়ছে কূটনীতিক মহলেও এবারে কি তবে কোভিড থেকে নজর ঘোরাতে নয়া কৌশল চিনের? না কি যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি নিয়েই এগিয়ে চলেছে চিনা সামরিক বাহিনী। কয়েক মাস আগেই তাইওয়ান সফরে যান প্রাক্তন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাঁর সফর ঘিরে চিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানি বলে আখ্যা দিয়েছিল বেজিং। এমতাবস্থায় চিন তাইওয়ানের উপর হামলা করবে কিনা, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। এমন অবস্থায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জোট সতর্ক করে জানিয়েছে চিন যে পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে, তাতে শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে যে কোনও সময় বিরোধ ঘটে যেতে পারে।
29
IMG_20230101_0014.jpg
u023
21
M
Student
News - Politics
1,236
https://eisamay.com/world/china-sends-fighter-jet-and-ships-towards-coastal-area-of-taiwan/articleshow/96448531.cms
false
false
false
যে কোনও মূল্যে করোনা রুখতে তৎপর কেন্দ্র। তড়িঘড়ি ছাড়পত্র দেওয়া হল ন্যাজাল টিকাকে (Nasal Vaccine)। শুক্রবার থেকেই নেওয়া যাবে করোনার এই টিকা (Coronavirus Vaccine)। প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে এদিন থেকে এই টিকা নেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় ¤ স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বুস্টার ডোজ হিসেবে এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে মান্যতা দিয়ে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ ¤ মান্তব্য। কোভ্যাকসিন (Covaxin) বা কোভিশিল্ডের (Covishield) টিকা যাঁরা আগে নিয়েছেন, তাঁরাই এই 'ন্যাজাল ভ্যাকসিন' নিতে পারবেন। বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। আগেই এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল ভারত বায়োটেককে। সংস্থার ন্যাজাল ভ্যাকসিন iNCOVAC-কে শর্তসাপেক্ষে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকই এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছিল CDSCO। iNCOVAC-ই বিশ্বের প্রথম ন্যাজাল কোভিড ভ্যাকসিন হিসেবে এই ছাড়পত্র পেয়েছিল। দু'টি ডোজের এই টিকা ভিন্নধর্মী বুস্টার ডোজ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে বলে ঘোষণা করেছিল ভারত বায়োটেক।
30
IMG_20221229_0001.jpg
u024
13
M
Student
News - Others
1,043
https://eisamay.com/nation/covid-19-nasal-vaccine-approved-by-central-govt-to-use-as-booster-dose-will-be-available-from-today/articleshow/96445431.cms
true
true
false
বর্তমানে কোনও ক্লাব নেই ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডোর। বিশ্বকাপের আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। দুই পক্ষের সমস্যার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে একজন ফ্রি এজেন্ট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপে এবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে পর্তুগালের। চোখের জলে মাঠ ছেড়েছেন রোনাল্ডো। বিশ্বকাপ শেষ, এবার তাঁর ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি তাঁকে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে অনুশীলন করতে দেখায় জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এবার তাঁর ক্লাব ভবিষ্যৎ নিয়ে পাওয়া গেল নতুন আপডেট। জানা যাচ্ছে জল্পনা চলতে থাকা ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। বিশ্বকাপের সময় শোনা গিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিতে চলেছেন ¤ ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডো। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আল নাসেরে যোগ দেওয়ার ব্যাপারটা উড়িয়ে দেন। পুরো জিনিসটা ফেক বলে তিনি উড়িয়ে দেন। তবে এবার শোনা যাচ্ছে অন্য খবর, জানা গেছে রোনাল্ডো যোগ দিতে চলেছেন আল নাসেরে। স্প্যানিশ সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডো। এরমধ্যে আড়াই বছর তিনি প্লেয়ার হিসেবে খেলবেন ও ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের বিডের জন্য তিনি অ্যাম্বাসাডর হবেন। ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য বিড দেবে সৌদি আরব, মিশর ও গ্রিস। ২০২৪ সালে ফিফার কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হবে ২০৩০ সালে কোন দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে। ফলে এবার প্লেয়ারের পাশাপাশি সৌদি আরবের ব্র্য়ান্ড অ্যাম্বাসাডরও হবেন তিনি।
31
IMG_20221229_0002.jpg
u025
51
F
Teacher
News - Sports
1,337
https://eisamay.com/sports/football/news/report-says-cristiano-ronaldo-set-to-sign-with-saudi-arabia-club-al-nassr/articleshow/96432374.cms
true
false
false
থমাস কাপে ইতিহাস করল ভারত। শুক্রবার সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল এইচ এস প্রণয়রা। এরফলে রুপো নিশ্চিত করে সোনার দিকে এগোচ্ছে টিম ইন্ডিয়া । থমাস এটাই ভারতের সেরা পারফরমেন্স । ফাইনালে ভারত খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে নেমেছিলেন লক্ষ্য সেন। তিনি এ দিনও হেরে গেলেন। যদিও হতাশ করেন ১৩-২১, ১৩-২১ লক্ষ্য হেরে যান ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে। যদিও এর পর নেমেছিলেন ডাবলস জুটি সাত্বিকসাইজার রানকিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি। তাঁরা ২২-২০, ২১-২৩, ২২-২০ গেমে হারিয়ে দেন কিম অস্ট্রুপ এবং ম্যাথিয়াস ক্রিশ্চেনসেনের জুটিকে।তৃতীয় ম্যাচে কিদম্বী শ্রীকান্ত অ্যান্ডার্স অ্যান্টনসেনকে ২১-১৮, ১২-২১, ২১-১৫ গেমে হারিয়ে ভারতকে এগিয়ে দেন চতুর্থ ম্যাচে আবার স্কোর সমান হয়ে যায় অ্যান্ডার্স ¤¤ রাসমাসেন এবং ফ্রেডেরিক সোগার্ড জুটির কাছে ১৪-২১ ১৩-২১ গেমে পরাজিত হন কৃষ্ণ প্রসাদ গর্গ এবং বিষ্ণুবর্ধন গৌড় এরপর এইচ এস প্রণয় যেন নিজেকে প্রমাণ করলেন ১৩-২১, ২১-৯, ২১-১২ গেমে রাসমাস জেমকে-কে হারিয়ে ভারতকে ফাইনালে তুলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। যদিও বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ককে থমাস কাপে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল ভারত কাপে । মালয়েশিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে ঐতিহ্যশালী প্রতিযোগিতায় ৪৩ বছর থমাস কাপে পদক নিশ্চিত করে তারা। এবার ভারতের টার্গেট সোনা । এবার পুরুষরা ভাল করলেও ভারতীয় মহিলারা হতাশ করেন কোয়ার্টার ফাইনালে তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ০-৩ ব্যবধানে হেরে যান সিন্ধুরা। এ বারের উবের কাপ থেকে বিদায় ঘটে গেল ভারতীয় দলের।
32
IMG_20221228_0001.jpg
u026
57
F
Service - Government Sector
News - Sports
1,291
https://eisamay.com/sports/other-sports/thomas-cup-semifinals-highlights-india-reach-final-for-first-time-as-hs-prannoy-wins-thrilling-decider/articleshow/91550594.cms
true
false
false
দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ভারতে 104 টি YouTube Chanel নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন 104 টি YouTube চ্যানেলের সঙ্গেই 45 টি ভিডিয়ো, 4 টি Facebook অ্যাকাউন্ট, 3 টি Instagram অ্যাকাউন্ট, 5 টি Twitter হ্যান্ডেল ও 6 টি ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভুয়ো খবর রটানো ও জাতীয় সুরক্ষার সক্ষে আপোষ করার অভিযোগ উঠেছে এই চ্যানেল, ভিডিয়ো ও অ্যাকাউন্ট-গুলির বিরুদ্ধে। রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা 69A ভারতের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতার স্বার্থে, ভারতের প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জনশৃঙ্খলা বা কমিশনের প্রতি উসকানি রোধ করার স্বার্থে ডিজিটাল মিডিয়ার উপর কন্টেন্ট ব্লক করার বিধান দেয়। তিনি জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের দ্বিতীয় পার্ট অনুযায়ী ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক 2021 সালের অক্টোবর থেকে 2022 সালের অক্টোবর পর্যন্ত 1643 টি ইউজার জেনারেটেড URL ব্লক করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওয়েবপেজ, ওয়েবসাইট, পোস্ট ও বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের অ্যাকাউন্ট। তিনি জানিয়েছেন, যখনই প্রয়োজন পড়েছে কেন্দ্র এই আইনের ব্যবহার করেছে, এবং ভবিষ্যতেও এই আইন ব্যবহারে পিছু পা হবে না।
33
IMG_20221228_0002.jpg
u026
57
F
Service - Government Sector
News - Tech
1,107
https://eisamay.com/tech/news/government-blocked-104-youtube-channels-for-spreading-misinformation-said-anurag-thakur/articleshow/96444812.cms
false
true
false
বিশ্বের জনপ্রিয়তম ইন্টারনেট ব্রাউজার Google Chrome। সম্প্রতি Google Chrome ব্রাউজারে পৌঁছেছে নতুন আপডেট। এই আপডেট ইনস্টল করলে একদিকে যেমন ফোনের ফোন ও ল্যাপটপের পারফরম্যান্স উন্নতি হবে, অন্যদিকে বাড়বে ব্যাটারি লাইফ। শীঘ্রই এই আপডেট ব্যবহারকারীদের ফোনে পাঠাতে শুরু করবে Google। Windows, macOS ও ChromeOS ডেক্সটপ গ্রাহকরা এই আপডেট ইনস্টল করতে পারবেন। এক নজরে এই আপডেট সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিন। আপডেট ইনস্টল করলে আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি 20 শতাংশের নীচে গেলে Google Chrome নিজে থেকেই পাওয়ার সেভিং মোডে চলে যাবে। ফলে বাড়বে ব্যাটারি ব্যাক আপ। যা ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাকটিভিটি লিমিট করবে একই সঙ্গে ওয়েবসাইটের ভিজুয়াল অ্যাকটিভিটি কমবে। এই আপগ্রেড ইনস্টল করার পরে ডান দিকে উপরে একটি পাতার আইকন দেখা যাবে। যে কোনও সময় এনার্জি সেভিং মোড এনেবেল করা যাবে। তবে ফোনের ব্যাটারি 20 শতাংশের কম হলে এই মোড নিজে থেকেই এনেবেল হয়ে যাবে। একই সঙ্গে এই আপডেট ইনস্টলের পরে Google Chrome - এ অ্যাকটিভ হবে মেমোরি সেভিং মোড। যে সব ব্যবহারকারী একই সঙ্গে অনেক ট্যাব ওপেন করে কাজ করেন তাঁদের বিশেষ কাজে লাগবে এই ফিচার।
34
IMG_20230101_0005.jpg
u027
37
F
Housewife
News - Tech
988
https://eisamay.com/tech/how-to/google-chrome-update-to-bring-performance-and-battery-saving-mode/articleshow/96146526.cms
false
true
false
ভারত তথা বিশ্বের জনপ্রিয়তম মেসেজিং অ্যাপ WhatsApp। বিপুল সংখ্যক গ্রাহক থাকার কারণেই বারবার সাইবার প্রতারকদের নিশানায় থাকে এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। নতুন নতুন উপায়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করার ফন্দি-ফিকির নিয়ে হাজির হয় জালিয়াতরা। সম্প্রতি নতুন উপায়ে ফের একবার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নিশানা করা হচ্ছে। সন্তান সেজে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হচ্ছে। কী ভাবে চলছে এই প্রতারণা? সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হচ্ছে পরিবারের সদস্য সেজে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ পাঠাচ্ছে প্রতারকরা। বিগত 3 মাসে এই জালিয়াতর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রায় 57 কোটি টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে খুইয়েছেন WhatsApp ব্যবহারকারীরা। হোয়াটসঅ্যাপে পরিবারের সদস্য সেজে স্ক্যামাররা মেসেজ পাঠায়। সেখানে নিজের ফোন হারিয়ে ফেলেছে বলে দাবি করা হয়। একবার বিশ্বাস অর্জন করা হয়ে গেলে আর্থিক সাহায্য চাওয়া শুরু হয়। পরিবারের সদস্য অথবা বন্ধু বিপদে পড়েছে ভেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু আসলে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যদিও ভারতে এখনও এই ধরনের প্রতারণার কোনও খবর সামনে আসেনি। মেসেজের মাধ্যমে প্রিয়জনকে টাকা পাঠানোর আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে বিপদের কথা জানতে পেরে দ্রুত টাকা না পাঠিয়ে সব সময় ফোনের অপর প্রান্তের মানুষটির পরিচয় যাচাই করে নিন।
35
IMG_20230101_0003.jpg
u028
15
F
Student
News - Tech
1,201
https://eisamay.com/tech/news/whatsapp-hi-mum-scam-can-steal-money-from-your-bank-account/articleshow/96388809.cms
false
true
false
৩০ ডিসেম্বর থেকে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছে পূর্ব রেল। যদিও পুরোটাই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর উপরে। প্রধানমন্ত্রী গ্রিন সিগন্যাল দিলে তবেই ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া থেকে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু তার আগেই বড়সড় পদক্ষেপ পূর্ব রেলের। সূত্রের খবর মোতাকের ২৬ ডিসেম্বরেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটির ট্রায়াল রান করছে পূর্ব রেল। যাত্রীশূন্য অবস্থায় এই ট্রায়াল রান হবে। প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার ট্রেনটি ভোর ৫ টা বেজে ২৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে। সেটি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে গিয়ে পৌঁছনোর কথা রয়েছে দুপুর ১ টা বেজে ২৫ মিনিটে ¤¤ ট্রায়াল রান হিসেবে চলায় সোমবার শুধুমাত্র মালদা টাউন ও বারসোই এই দুটি স্টেশনেই দাঁড়াবে ট্রেনটি। উলটোদিকে ফিরে আসার সময়, সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি জংশন থেকে বেলা 3টে বেজে 5 মিনিটে ছেড়ে বন্দে ভারত হাওড়া ফিরে আসবে রাত ১০ টা বেজে ৩৫ মিনিটে। প্রসঙ্গত, যে কোনও রুটে নতুন ট্রেন চালানোর আগে সাধারণ ভাবে তার ট্রায়াল রান করে নেয় রেল। বন্দে ভারতের ক্ষেত্রেও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। মনে করা হচ্ছে, সবকিছু একেবারে প্ল্যানমাফিক হয়েছে কিনা, তা দেখার এটি একেবারে অন্তিম পরীক্ষা।
36
IMG_20230101_0004.jpg
u029
8
M
Student
News - Business
1,059
nan
true
true
false
বাবা যখন বললেন, 'তোর ধীরুকাকা অনেকদিন থেকে বলেছেন - তাই ভাবছি এবার পুজোর ছুটিটা লখনৌতেই কাটিয়ে আসি' - তখন আমার মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমার বিশ্বাস ছিল লোখনৌটা বেশ বাজে জায়গা। অবিশ্যি বাবা বলেছিলেন ওখান থেকে আমরা হরিদ্বার লছমনঝুলাও ঘুরে আসবো। আর লছমনঝুলাতে পাহাড়ও আছে - কিন্তু সে আর কদিনের জন্য এর আগে প্রত্যেক ছুটিতে দার্জিলিং নাহয় পুরী গিয়েছি। আমার পাহাড়ও ভালো লাগে, আবার সমুদ্রও ভালো লাগে। লোখনৌতে দুটোর একটাও নেই। তাই বাবাকে বললাম, 'ফেলুদা যেতে পারে না আমাদের সঙ্গে ?' ফেলুদা বলে ও কলকাতা ছেড়ে যেখানেই যাক না কেন, ওকে ঘিরে নাকি রহস্যজনক ঘটনা সব গজিয়ে ওঠে। আর সত্যিই, দার্জিলিং - এ যেবার ও আমাদের সঙ্গে ছিল ঠিক সেবারই রাজেনবাবুকে জড়িয়ে সেই অদ্ভুত ঘটনাগুলো ঘটলো। তেমন যদি হয়, জাইগা ভালো না হলেও খুব ক্ষতি নেই। বাবা বললেন, 'ফেলু তো আসতেই পারে, কিন্তু ও যে নতুন চাকরি নিয়েছে, ছুটি পাবে কি ? ফেলুদাকে লখনৌয়ের কথা বললেই ও বললো, 'ফিফটি এইটে গেসলাম - কিক্রেট খেলতে। জায়গাটা নেহাত ফেলনা নয়। বড়াইমামবড়ার ভুলভুলাইয়ার ভেতরে যদি ঢুকিস, তো তোর চোখ আর মন একসঙ্গে ধাঁধিয়ে যাবে। নবাব - বাদশাহের কী ইম্যাজিনেশন ছিল - বাপরে বাপ !'
37
IMG_20230101_0001.jpg
u030
24
M
Student
Literature - Detective Novel
1,036
Badshahi Angti - Satyajit Ray
false
false
false
ধীরুকাকা কুড়ি বছর আগে লখনৌতে প্রথম আসেন উকিল হয়ে। সেই থেকে এখানেই আছেন, এবং এখন নাকি ওঁর বেশ নামডাক। কাকিমা তিনবছর হলো মারা গেছেন, আর ধীরুকাকার ছেলে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে চাকরি নিয়ে চলে গেছেন। ওঁর বাড়িতে এখন উনি থাকেন, ওঁর বেয়ারা জগমোহন থাকে, আর রান্না করার বাবুর্চি আর একটা মালী। ওঁর বাড়িটা যেখানে সে জায়গাটার নাম সেকেন্দার বাগ, স্টেশন থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাইল দূরে। বাড়ির সামনে গেটের উপর লেখা - 'ডি. কে. সান্যাল এম. এ., বি. এল. বি., অ্যাডভোকেট'। গেট দিয়ে ঢুকে খানিকটা নুড়ি পাথর ঢালা রাস্তার পর একতলা বাড়ি, আর রাস্তার দুদিকে বাগান। আমরা যখন পৌঁছলাম তখন মালী 'লন মোয়ার' দিয়ে বাগানের ঘাস কাটছে। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর বাবা বললেন, 'ট্রেন জার্নি করে এসেছ, আজ আর বেরিও না। কাল থেকে শহর দেখা শুরু করা যাবে।' তাই সারাদুপুর বাড়িতে বসে ফেলুদার কাছে তাসের ম্যাজিক শিখেছি। ফেলুদা বলে - ইন্ডিয়ানদের আঙুল ইউরোপিয়ানদের চেয়ে অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল। তাই হাত সাফাইয়ের খেলাগুলো আমাদের পক্ষে রপ্ত করা অনেক সহজ হয়।' বিকেলে যখন ধীরুকাকার বাগানে ইউক্যালিপটাস গাছটার পাশে বেতের চেয়ারে বসে চা খাচ্ছি, তখন গেটের বাইরে একটা গাড়ি থামার আওয়াজ পেলাম। ফেলুদা না দেখেই বললো 'ফিয়াট'। তারপর রাস্তার পাথরের উপর দিয়ে খচমচ খচমচ করতে করতেই ছাই রঙের স্যুট পরা একজন ভদ্রলোক এলেন। চোখে চশমা, রং ফর্সা আর মাথার চুলগুলো বেশির ভাগই সাদা। কিন্তু তাও দেখে বোঝা যায় যে বয়স বাবাদের চেয়ে খুব বেশি নয়।
38
IMG_20230101_0006.jpg
u031
24
M
Student
Literature - Detective Novel
1,289
Badshahi Angti - Satyajit Ray
false
false
false
ফেলুদা বললো, 'আমাদের এবারের জঙ্গলের ঘটনাটা যখন লিখবি তখন ঐ ছ লাইনের সংকেতটা দিয়ে আরম্ভ করিস।' সংকেতের ব্যাপারটা ঘটনার একটু পরের দিকে আসছে; তাই যখন জিজ্ঞেস করলাম ওটা দিয়ে শুরু করার কারণটা কী, তখন ও প্রথমে বললো, 'ওটা একটা কায়দা। ওতে পাঠককে সুড়সুড়ি দেবে।' উত্তরটা আমার পছন্দ হল না বুঝতে পেরেই বোধহয় আবার দু মিনিট পরে বলল, 'ওটা শুরুতে দিলে গল্পটা যারা পড়বে তারা প্রথম থেকে মাথা খাটাতে পারবে।' আমি ফেলুদার কথা মতোই সংকেতটা গোড়ায় দিচ্ছি বটে, কিন্তু এটাও বলে দিচ্ছি যে মাথা খাটিয়ে বোধহয় বিশেষ লাভ হবেনা, কারণ সংকেতটা সহজ নয়। ফেলুদাকে অবধি প্যাঁচে ফেলে দিয়েছিল। অবিশ্যি ও বুঝিয়ে দেবার পর ব্যাপারটা আমার কাছেও বেশ সহজ বলেই মনে হয়েছিল। এতদিন ফেলুদার সব লোমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চারগুলো লেখার সময়ে আসল লোক আর আসল জায়গার নাম ব্যবহার করে এসেছি, এবার একজন বারণ করায় সেটা আর করছি না। নকল নামের ব্যাপারে অবিশ্যি ফেলুদার সাহায্য নিতে হয়েছে। ও বললো, 'জায়গাটা যে ভুটান সীমানার কাছে সেটা বলতে কোনও আপত্তি নেই। নামটা করে দে লক্ষণবাড়ি। যে ভদ্রলোক গল্পের প্রধান চরিত্র, তার পদবিটা সিংহরায় করতে পারিস। ও নামের জমিদার এ দেশে অনেক ছিল, আর তাদের মধ্যে অনেকেরই আদি নিবাস ছিল রাজপুতানায়, অনেকেই বাংলাদেশে এসে তোদরমল্লের মোঘল সৈন্যের হয়ে পাঠানদের সঙ্গে যুদ্ধ করে শেষে বাংলাদেশেই বসবাস করে একেবারে বাঙালী ব'নে গিয়েছিল।'
39
IMG_20230102_0002.jpg
u032
25
M
Student
Literature - Detective Novel
1,206
Royal Bengal Rohosyo - Satyajit Ray
true
false
false
ফেলুদা একটু হেসে বললো, 'যদি সত্যিই ম্যান - ইটার বেরোত, তাহলে আপনি অন্তত সাময়িকভাবে নিশ্চয় কলম ছেড়ে বন্দুক ধরতেন।' 'তা ধরতাম বইকী। আমারই এলাকায় যদি নরখাদক বাঘ উৎপাত ¤ আরম্ভ করে তাকে শায়েস্তা করাটা তো আমার ডিউটি।' আমাদের শরবত খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। মহিতোষবাবু বললেন, 'আপনারা ক্লান্ত হয়ে এসেছেন, আপনাদের ঘর দেখিয়ে দিচ্ছে, আপনারা স্নান খাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম করে নিন। বিকেলের দিকে আমার জিপে করে আপনাদের একটু ঘুরিয়ে আনবে। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে রাস্তা আছে, হরিণ - টরিন ¤ চোখে পড়তে পারে, এমনকী হাতিও। তড়িৎ, যাও তো এঁদের ট্রফি রুমটা একবার দেখিয়ে সোজা নিয়ে যাও এঁদের ঘরে। ট্রফি রুম মানে বাঘ ভাল্লুক বাইসন হরিণ কুমিরের চামড়া আর মাথায় ভরা একটা বিশাল ঘর। ঘরের মেঝে আর দেওয়ালে তিল ধরার জায়গা নেই। এতগুলো জানোয়ারের জোড়া জোড়া পাথরের চোখ চারিদিক থেকে আমাদের দিকে চেয়ে আছে দেখলেই গা - টা ছমছম করে। শুধু জানোয়ার নয়, যেসব অস্ত্র দিয়ে এই জানোয়ার মারা হয়েছে সেগুলোও ঘরের এক পাশে একটা খাঁজকাটা রাকের উপর রাখা রয়েছে। দোনলা একনলা পাখি - মারা বাঘ - মারা হাতি - মারা কতরকম যে বন্দুক তার ঠিক নেই। এই সব দেখতে দেখতে ফেলুদা তড়িৎবাবুকে জিজ্ঞেস করলো, 'আপনিও শিকার করেছেন নাকি ?' তড়িৎবাবু একটু হেসে মাথা নেড়ে বললেন, 'একেবারেই না। আপনি গোয়েন্দা, আমার চেহারা দেখে বুঝতে পারছেন না ।?'
40
IMG_20230101_0002.jpg
u030
24
M
Student
Literature - Detective Novel
1,177
Royal Bengal Rohosyo - Satyajit Ray
false
false
false
'বোঝাই যাচ্ছে ভদ্রলোক এইসব পাবলিশারদের চিঠি লিখতেন বা লিখছেন, ভিক্টোরিয়ার চিঠির সংকলন সম্বন্ধে খোঁজ করে। অথচ মজা এই যে, এত না করে ব্রিটিশ কাউন্সিল না ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে গিয়ে ভিক্টোরিয়ার চিঠি পড়ে আসা ঢের সহজ ছিল।' 'এ যেন মাথার পিছন দিক দিয়ে হাত ঘুরিয়ে নাক দেখানো', মন্তব্য করলেন জটায়ু। ফেলুদা খাতাটা পকেটে পুরে স্যান্ডউইচের জায়গা করে দিয়ে একটা চারমিনার ধরালো। লালমোহনবাবু টেবিলের উপর তাল ঠুকে একটা বিলিতি ধাঁচের সুরের এক লাইন গুনগুন করে বললেন, 'চলুন কোথাও বেড়িয়ে পড়ি শহরের বাইরে। বাইরে গেলেই দেখেছি আপনার কেসও জোটে, আমার গল্পও জোটে। কোথায় যাওয়া যায় বলুন তো ? বেশ রুক্ষ জায়গা হওয়া চাই। সমতল শস্যশ্যামলা আয়েশী ভেতো মিনমিনে পরিবেশ হলে চলবে না। বেশ একটা - ' স্যান্ডউইচের প্লেট এসে পড়ায় আর কথা এগোলো না। আমাদের তিন জনেরই খিদে পেয়েছিল বেশ জবর। একসঙ্গে দু জোড়া স্যান্ডউইচে একটা বিশাল কামড় দিয়ে তিনবার চোয়াল খেলিয়েই লালমোহনবাবু কেন জানি থমকে গেলেন। তারপর গোল গোল চোখ করে পরপর দুবার 'ঈশ্বরের জয়, ঈশ্বরের জয়' বললেন, যার ফলে মুখ থেকে কয়েকটা রুটির টুকরো ছিটকে বেরিয়ে টেবিলের উপর পড়ল। ব্যাপারটা হলো এই - আমি আর ফেলুদা রাস্তার দিকে মুখ করে বসে ছিলাম, আর লালমোহনবাবুর মুখ ছিল রেস্টুরেন্টের পিছন দিকটায়। ঘরের শেষ মাথায় একটা নিচু প্ল্যাটফর্ম, দেখেই বোঝা যায় সেখানে রাত্রে বাজনা বাজে। সেখানে একটা সাইনবোর্ড দেখেই জটায়ুর এই দশা। তাতে রয়েছে এই বাজনার দলের নাম, আর নামের ঠিক তলায় লেখা - 'গিটার - ক্রিস গডউইন।'
41
IMG_20230102_0001.jpg
u032
25
M
Student
Literature - Detective Novel
1,326
Gorosthane Sabdhan - Satyajit Ray
true
false
false
তিনজনে ঢুকলাম ভিতরে। একটা মাঝারি সাইজের বৈঠকখানা। দরজার উল্টোদিকে একটা সোফা, তার কাপড়ের ঢাকনির তিন জায়গায় ফুটো দিয়ে নারকোলের ছোবড়া বেরিয়ে আছে। সোফার সামনে একটা শ্বেতপাথরের টেবিল, - এখন শ্বেত বললে ভুল হবে, কিন্তু এককালে তাই ছিল। বাঁয়ে একটা কালো প্রাচীন বুক কেস, তাতে গোটা পনেরো প্রাচীন বই। বুক কেসের মাথায় একটা পিতলের ফুলদানিতে ধুলো জমা প্লাস্টিকের ফুল, সে ফুলের রং বোঝে কার সাধ্য। দেয়ালে একটা বাঁধানো ছবি, সেটা ঘোড়াও হতে পারে, রেলগাড়ি ও হতে পারে, এত ধুলো জমেছে তার কাঁচে। যে ফিলিপস রেডিওটা সোফার পাশে টেবিলের উপর রাখা রয়েছে সেটার মডেল নির্ঘাত ফেলুদার জন্মেরও আগের। আশ্চর্য এই, যে সেটা এখনো চলে, কারণ সেটা থেকেই গানের শব্দ আসছিল। এখন একটা শিরা - বার - করা ফ্যাকাসে হাত নব ¤¤ ঘুরিয়ে গানটা বন্ধ করে দিল। যার হাত তিনি সোফার এক কোণে একটা কুশন কোলে নিয়ে বাঁ পা টা একটা মোড়ার উপর তুলে দিয়ে বসে মিটমিট করে আমাদের দিকে চাইছেন। এঁর শরীরে যে সাহেবের রক্ত আছে সেটা চামড়ার রং থেকে বোঝা যায়, আর চুলের যেটুকু পাকা নয় তার রং কটা। চোখটা যে কীরকম সেটা ¤ বুঝতে পারছি না, কারণ ছাত থেকে ঝোলানো যে বাতিটা জ্বলছে সেটার পাওয়ার পঁচিশের বেশি নয়। 'আমি গাউটে ভুগছি, তাই চলাফেরা করতে পারিনা', ইংরিজিতে বললেন সাহেব। ' আই হ্যাভ টু টেক দ্য হেল্প অফ মাই সার্ভেন্ট। সে শুয়োরটা আবার ফাঁক পেলেই সটকায়। ' ফেলুদা এবার পরিচয়ের ব্যাপারটা সেরে নিল। ভদ্রলোক আমরা আসাতে বিরক্ত হলেও সেটা এখনও প্রকাশ করেননি। ফেলুদা কাজের কথায় চলে গেল।
42
IMG_20230101_0007.jpg
u031
24
M
Student
Literature - Detective Novel
1,315
Gorosthane Sabdhan - Satyajit Ray
true
false
false
আমরা আধ ঘণ্টা হলো আগ্রা ফোর্ট স্টেশন থেকে বান্দিকুইয়ের ট্রেনে চেপেছি। আগ্রায় হাতে তিন ঘণ্টা সময় ছিল। সেই ফাঁকে দশ বছর বাদে আরেকবার তাজমহলটা দেখে নিলাম, আর ফেলুদাও আমাকে তাজের জিওমেট্রি সম্পর্কে একটা ছোটখাটো লেকচার দিয়ে দিল। গতকাল কলকাতা ছাড়ার আগে একটা জরুরী কাজ সেরে নিয়েছিলাম - সেটার কথা এখানে বলে রাখি। তুফান এক্সপ্রেস ছাড়বে সকাল সাড়ে নটায়, তাই আমরা ঘুম থেকে উঠেছিলাম খুব ভোরে। ছটা নাগাদ চা খাবার পর ফেলুদা বললো, 'একবার তোর সিধু জ্যাঠার ওখানে ঢুঁ মারতে হচ্ছে। ভদ্রলোকের কাছ থেকে কিছু তথ্য জোগাড় করতে পারলে সুবিধে হবে।' সিধু জ্যাঠা থাকেন সর্দার শঙ্কর রোডে। আমাদের তারা রোড থেকে হেঁটে যেতে লাগে পাঁচ মিনিট। এখানে বলে রাখি, সিধু জ্যাঠা জীবনে নানা রকম ব্যবসা করে অনেক টাকা রোজগারও করেছেন, আবার অনেক টাকা খুইয়েওছেন। আজকাল আর কাজকর্ম করেন না। বইয়ের ভীষণ শখ, তাই গুচ্ছের বই কেনেন, কিছুটা সময় সেগুলো পড়েন, বাকি সময়টা একা একা বই দেখে দাবা খেলেন, আর খাওয়া নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেন। এক্সপেরিমেন্টটা হচ্ছে এক খাবারের সাথে আরেক খাবার মিশিয়ে খাওয়া। উনি বলেন, দইয়ের সঙ্গে অমলেট মেখে খেতে নাকি অমৃতের মতো লাগে। আসলে সম্পর্কে আমাদের কিছুই হন না উনি। আমাদের যে পৈতৃক গ্রাম (আমি যাইনি কক্ষনও) উনি সে গ্রামেরই লোক, আর আমাদের বাড়ির পাশেই ওঁর বাড়ী ছিল। উনি তাই আমার বাবার দাদা আর আমার জ্যাঠামশাই।
43
IMG_20230102_0010.jpg
u033
52
M
Business Owner
Literature - Detective Novel
1,197
Sonar Kella - Satyajit Ray
false
false
false
আরেকটা রাস্তার মোড় ঘুরতেই ফেলুদা বললো, 'ওই দ্যাখ বাঁদিকে।' চেয়ে দেখি শহরের বাড়ির মাথার উপর দিয়ে দূরে দেখা যাচ্ছে বিরাট থমথমে এক কেল্লা। বুঝলাম ওটাই হলো বিখ্যাত যোধপুর ফোর্ট। আমি জানতাম এখানকার রাজারা মোঘলদের হয়ে লড়াই করেছে। কখন কেল্লাটা কাছ থেকে দেখতে পাবো সেটা ভাবতে ভাবতেই সার্কিট হাউসে পৌঁছে গেলাম। গেটের ভিতর দিয়ে ঢুকে একটা বাগানের পাশ দিয়ে গিয়ে একটা পোর্টিকোর তলায় আমাদের ট্যাক্সি দাঁড়ালো। মালপত্তর নামিয়ে ট্যাক্সির ভাড়া চুকিয়ে দিয়ে আমরা ভিতরে ঢুকলাম। একজন ভদ্রলোক এগিয়ে এসে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন আমরা কলকাতা থেকে আসছি কি না। ফেলুদা 'হ্যাঁ' বলাতে ভদ্রলোক বললেন - আপনাদের জন্য একতলায় একটা ডাবল রুম বুক করা আছে। খাতায় নাম সই করার সময় আমাদের নামের কয়েক লাইন উপরেই পর পর দুটো নাম চোখে পড়লো - ডক্টর এইচ বি হাজরা আর মাস্টার এম ধর। সার্কিট হাউসের প্ল্যানটা খুব সহজ। ঢুকেই একটা বড় খোলা জায়গা, বাঁ দিকে রিসেপশন কাউন্টার আর ম্যানেজারের ঘর, সামনে দোতলায় সিঁড়ি, ডাইনে আর বাঁয়ে দু দিকে লম্বা বারান্দার পাশে পর পর লাইন করে ঘর। বারান্দায় বেতের চেয়ার পাতা রয়েছে। একজন বেয়ারা এসে আমাদের মাল তুলে নিলো, আমরা তার পিছন পিছন ডানদিকের বারান্দা দিয়ে রওনা দিলাম তিন নম্বর ঘরের দিকে। একজন সরু গোঁফওয়ালা মাঝবয়সী ভদ্রলোক একটা বেতের চেয়ারে বসে, একজন মারওয়ারী টুপি পরা ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন; আমরা তার পাশ দিয়ে যাবার সময় পরিষ্কার বাংলায় বললেন, 'বাঙালী মনে হচ্ছে ?' ফেলুদা হেসে 'হ্যাঁ' বললো। আমরা তিন নম্বর ঘরে গিয়ে ঢুকলাম।
44
IMG_20230102_0011.jpg
u034
18
F
Student
Literature - Detective Novel
1,343
Sonar Kella - Satyajit Ray
false
false
false
সরস্বতী কুণ্ডের বনে কত বন্য শিউলি গাছ - শিউলি গাছের প্রাচুর্য এক এক জায়গায় এত বেশি, যেন মনে হয় শিউলির বন। বড়ো বড়ো শিলা-খন্ডের উপর শরতের প্রথমে সকালবেলা রাশি রাশি শিউলি ফুল ঝরে পড়েছিল - দীর্ঘ একরকম কর্কশ ঘাস সেইসব পাথরের আশেপাশে বড়ো বড়ো ময়না কাঁটার গাছ তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কাঁটা গাছ, শিলাখন্ড; সব তাতেই রাশি রাশি শিউলি ফুল - আর্দ্র, ছায়া ঘেরা স্থান; তাই সকালের ফুল এখনও শুকিয়ে যায়নি। সরস্বতী হ্রদকে কত রূপেই দেখলাম। লোকে বলে সরস্বতী কুন্ডের জঙ্গলে বাঘ আছে, জ্যোৎস্না - রাত্রে সরস্বতীর বিস্তৃত জলরাশির কৌমুদীস্নাত শোভা দেখবার লোভে রাস - পূর্ণিমার দিন তহশীলদার বনোয়ারীলালের চোখে ধুলো দিয়ে আজমা - বাদের সদর কাছারি আসবার ছুঁতোয় লবটুলিয়া ডিহি কাছারি থেকে লুকিয়ে একা ঘোড়ায় এখানে এসেছি। চারদিক নীরব, নিস্তব্দ - পূর্ব দিকের ঘন বনে কেবলই শিয়ালের ডাক শোনা যাচ্ছিল - দূরের শৈলমালা ও বনশীর্ষ অস্পষ্ট দেখাচ্ছে - জ্যোৎস্নার হিম বাতাসে গাছপালা ও ভোমরা লতার নৈশ - পুষ্পের মৃদু সুবাস। আমার সামনে বন ও পাহাড়ে বেষ্টিত নিস্তরঙ্গ বিস্তীর্ণ হ্রদের বুকে হৈমন্তী পূর্ণিমার থৈ থৈ জ্যোৎস্না। পরিপূর্ণ, ছায়াহিন জলের উপরে পড়া, ছোট ছোট বিচি মালায় প্রতিফলিত হওয়া অপার্থিব দেব - লোকের জ্যোৎস্না। ভোমরা লতার সাদা ফুলে ছাওয়া বড়ো বড়ো বনস্পতিশীর্ষে জ্যোৎস্না পড়ে মনে হচ্ছে গাছে গাছে পরীদের সাদা বস্ত্র উড়ছে। এই সরস্বতী কুণ্ডীর ধারে এদিন দুপুরে এক অদ্ভুত লোকের সন্ধান পেলাম। সার্ভে ক্যাম্প থেকে ফেরবার পথে একদিন হ্রদের তীরের বনপথ দিয়ে আস্তে আস্তে আসছি, বনের মধ্যে দেখি একটি লোক মাটি খুঁড়ে কী যেন করছে।
45
IMG_20230101_0011.jpg
u043
60
M
Service - Government Sector - Retired
Literature - Autobiography Novel
1,398
Aranyak - Bibhutibhushan Bandopadhyay
false
false
false
শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ জারি হয়েছে। দাঙ্গা বেধেছে হিন্দু আর মুসলমানে। মুখোমুখি লড়াই দা, সড়কি, ছুরি, লাঠি নিয়ে। তা ছাড়া চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে গুপ্তঘাতকের দল - চোরাগোপ্তা হানছে অন্ধকারকে আশ্রয় করে। লুটেরা - রা বেরিয়েছে তাদের অভিযানে। মৃত্যুবিভীষিকাময় এই অন্ধকার রাত্রি তাদের উল্লাসকে আরো তীব্রতর করে তুলছে। বস্তিতে বস্তিতে জ্বলছে আগুন। মৃত্যু - কাতর নারী - শিশুর চিৎকার স্থানে স্থানে আবহাওয়াকে বীভৎস করে তুলেছে। তার উপর এসে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সৈন্যবাহী গাড়ী। তারা গুলি ছুঁড়চ্ছে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। দুদিক থেকে দুটো গলি এসে মিশেছে এ জায়গায়। ডাস্টবিন টা উল্টে এসে পড়েছে গলিদুটোর মাঝখানে খানিকটা ভাঙাচোরা অবস্থায়। সেটাকে আড়াল করে গলির ভেতর থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এলো একটি লোক। মাথা তুলতে সাহস হল না। নির্জীবের মত পড়ে রইল খানিকক্ষণ। কান পেতে রইলো দূরের অপরিস্ফুট কলরবের দিকে। কিছুই বোঝা যায় না - 'আল্লাহ আকবর' কি 'বন্দে মাতরম'। হঠাৎ ডাস্টবিনটা একটু নড়ে উঠলো আচম্বিতে শিরশিরিয়ে উঠলো দেহের সমস্ত শিরা - উপশিরা। দাঁতে দাঁতে চেপে হাত পা গুলোকে কঠিন করে লোকটা প্রতীক্ষা করে রইলো একটা ভীষণ কিছুর জন্য। কয়েকটা মুহূর্ত কাটে। নিশ্চল নিস্তব্ধ চারিদিক। বোধহয় কুকুর। তাড়া দেবার জন্যে লোকটা ডাস্টবিনটাকে ঠেলে দিল একটু। খানিকক্ষন চুপচাপ। আবার নড়ে উঠলো ডাস্টবিনটা। ভয়ের সঙ্গে এবার একটু কৌতূ - হল হলো। আস্তে আস্তে মাথা তুললো লোকটা ওপাশ থেকেও উঠে এল ঠিক তেমনই একটি মাথা। মানুষ!
46
IMG_20230101_0012.jpg
u043
60
M
Service - Government Sector - Retired
Literature - Short Story
1,318
Adaab - Samaresh Basu
false
false
true
মাথা নিচু করে মোড়টা পেরিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে তারা ছুটলো, সোজা এসে উঠলো একেবারে পাটুয়াটুলি রোডে। নিস্তব্ধ রাস্তা ইলেকট্রিকের আলোয় ফুটফুট করছে। দুইজনেই একবার থমকে দাঁড়ালো - ঘাপটি মেরে নেই তো কেউ ? কিন্তু দেরি করারও উপায় নেই। রাস্তার এমোড় ওমোড় একবার দেখে নিয়ে ছুটলো সোজা পশ্চিমের দিকে। খানিকটা এগিয়েছে এমন সময় তাদের পিছনে শব্দ উঠলো ঘোড়ার খুরের। তাকিয়ে দেখলো - অনেকটা দূরে একজন অশ্বারোহী এদিকেই আসছে। ভাববার সময় নেই। বাঁ-পাশে মেথর যাতায়াতের সরু গলির মধ্যে আত্মগোপন করলো তারা। একটু পরেই ইংরেজ অশ্বারোহী রিভলভার হাতে তীব্র বেগে বেরিয়ে গেল তাদের বুকের মধ্যে অশ্ব-খুরধ্বনি তুলে দিয়ে। শব্দ যখন চলে গেল অনেক দূরে, উঁকি-ঝুঁকি মারতে মারতে আবার তারা বেরুলো। সুতা মজুর বললো, 'কিনারে কিনারে চলো'। রাস্তার ধর ঘেঁষে সন্ত্রস্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে তারা। 'খাড়াও', মাঝি চাপা গলায় বলে। সুতা মজুর চমকে থমকে দাঁড়ায়। 'কী হইল?', সুতা মজুর জিজ্ঞেস করতেই মাঝি তার হাত ধরে তাকে একটা পানবিড়ির দোকানের আড়ালে নিয়ে গেল। মাঝির সংকেত মত সামনের দিকে তাকিয়ে সুতা মজুর দেখলো প্রায় একশো গজ দূরে একটা ঘরে আলো জ্বলছে। ঘরের সংলগ্ন উঁচু বারান্দায় দশ - বারোজন বন্দুকধারী পুলিশ স্থানুর মত দাঁড়িয়ে আছে, আর তাদের সামনে ইংরেজ অফিসার কী যেন বলছে অনর্গল পাইপের ধোঁয়ার মধ্যে হাত-মুখ নেড়ে। বারান্দার নিচে ঘোড়ার জিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে আরেকটি পুলিশ। অশান্ত চঞ্চল ঘোড়া কেবলই পা ঠুকছে মাটিতে।
47
IMG_20230108_0001.jpg
u039
60
M
Service - Government Sector - Retired
Literature - Short Story
1,268
Adaab - Samaresh Basu
false
false
true
১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর, দুপুর সাড়ে বারোটা। ইউরোপীয় পোশাক পরা তিনজন যুবক গটগট করে উঠে এল রাইটার্স বিল্ডিংস - এর সিড়ি দিয়ে। বলাই বাহুল্য, এই তিনজনের মধ্যে দলপতির নাম বিনয় বসু। বাকি দুজন সুধীর গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত। সুধীরের ডাকনাম ছিল বাদল। সেই নামেই পরিচিত। ওরা তিনজন এসে দাঁড়ালো কারা বিভাগের আই. জি. মিস্টার সিম্পসনের ¤¤ অফিসের সামনে। সাহেবের আর্দালি ওদের দেখে জিজ্ঞেস করলো, আপনারা কি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে চান? স্লিপে নাম লিখুন আগে - ওরা সে কথার কোনো উত্তর না দিয়ে দরজা ঠেলে ঢুকে ¤ পড়ল ভেতরে। সিম্পসন ক্রুদ্ধভাবে মুখ তুলে তাকালো। এই সিম্পসনের আমলেই জেলখানার মধ্যে রাজবন্দিদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের মধ্যে সুভাষচন্দ্রকে এমন লাঠিপেটা করা হয়েছিল যে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অজ্ঞান হয়ে ছিলেন। সামনে সেই সিম্পসন। তাকে প্রতিরোধের কোনো সুযোগ না দিয়েই তিনজনের রিভলভার গর্জে উঠলো একসঙ্গে। পাঁচ - ছটি গুলিতে সিম্পসনের দেহ ফুঁড়ে গেল। সমস্ত রাইটার্স বিল্ডিংস কেঁপে উঠলো সেই শব্দে। তার চেয়েও জোরে ওরা চেঁচিয়ে উঠলো, বন্দে মাতরম। ব্রিটিশ শাসনের প্রধান দুর্গ রাইটার্স বিল্ডিংসে সেই প্রথম শোনা গেলো বন্দেমাতরম ধ্বনি। সিংহের গহ্বরে ঢুকে পড়েছে তিন অকুতোভয় যুবক। হুড়োহুড়ি পড়ে গেল চতুর্দিকে - সবাই প্রাণ বাঁচাবার জন্য ব্যস্ত - সরকারের বংশবদ দিশি মন্ত্রী এবং রাজকর্মচারীরা কেউ টেবিলের নিচে, কেউ আলমারির আড়ালে লুকিয়ে ভয়ে কাপছে। আর প্রকাশ্যে বারান্দা দিয়ে খোলা পিস্তল হাতে সেই তিন ¤ যুবক বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে গুলি ছুঁড়ছে।
48
IMG_20230101_0015.jpg
u037
38
M
Service - Government Sector
Literature - Short Story
1,351
Swadhinotar Sangram - Sunil Gangopadhyay
true
false
true
এই নিষ্ঠুর অভিযোগে গফুরের যেন বাকরোধ হইয়া গেল। ক্ষণেক পরে ধীরে ধীরে কহিল, কাহন - খানেক খড় এবার ভাগে পেয়েছিলাম, কিন্তু গেল সনের বকেয়া বলে কর্তমশায় সব ধরে রাখলেন। কেঁদেকেটে হাতে পায়ে পড়ে বললাম, বাবুমশায়, হাকিম তুমি, তোমার রাজত্ব ছেড়ে আর পালাবো কোথায়, আমাকে পণ দশেক বিচুলিও না হয় দাও। চালে খড় নেই - একখানি ঘর, বাপ - বেটিতে থাকি, তাও নাহয় তালপাতার গোঁজা - গোঁজা দিয়ে এ বর্ষাটা কাটিয়ে দেব, কিন্তু না খেতে পেয়ে আমার মহেশ মরে যাবে। তর্করত্ন হাসিয়া কহিলেন, ইস! সাধ করে আবার নাম রাখা হয়েছে মহেশ! হেসে বাঁচিনে! কিন্তু এ বিদ্রুপ গফুরের কানে গেল না, সে বলিতে লাগিল, কিন্তু হাকিমের দয়া হল না। মাস - দুয়েকের খোরাকের মতন ধান দুটি আমাদের দিলেন, কিন্তু বেবাক খড় সরকারে গাদা হয়ে গেল, ও আমার কুটোটি পেলে না। - বলিতে বলিতে কণ্ঠস্বর তাহার অশ্রুভারে ভারী হইয়া উঠিল। কিন্তু তর্করত্নের তাহাতে করুণার উদয় হইল না; কহিলেন, আচ্ছা মানুষ তো তুই - খেয়ে রেখেছিস, দিবিনে? জমিদার কি তোকে ঘর থেকে খাওয়াবে নাকি? তোরা তো রামরাজত্বে বাস করিস - ছোটলোক কিনা, তাই তাঁর নিন্দে করে মরিস। গফুর লজ্জিত হইয়া বলিল, নিন্দে করবো কেন বাবাঠাকুর, নিন্দে তাঁর আমরা করিনে। কিন্তু কোথা থেকে দিই বলো তো? বিঘে - চারেক জমি ভাগে করি, কিন্তু উপরি উপরি দু'সন অজন্মা - মাঠের ধান মাঠে শুকিয়ে গেল - বাপ বেটিতে দুবেলা দুটো পেট ভরে খেতে পর্যন্ত পাইনে - বলিতে বলিতেই সে ধপ করিয়া ব্রাহ্মণের পায়ের কাছে বসিয়া পড়িল। তর্করত্ন তিরবৎ দুপা পিছাইয়া গিয়া কহিলেন, আ মর ছুঁয়ে ফেলবি না কি ?
49
IMG_20230102_0007.jpg
u040
53
M
Service - Government Sector
Literature - Short Story
1,348
Mahesh - Sharatchandra Chattopadhyay
true
false
true
বর্ষার মাঝামাঝি। পদ্মার ইলিশ মাছ ধরার মরশুম চলিয়াছে। দিবারাত্রি কোনো সময়ই মাছ ধরিবার কামাই নাই। সন্ধ্যার সময় জাহাজ ঘাটে দাঁড়াইলে দেখা যায় নদীর বুকে শত শত আলো অনির্বাণ জোনাকির মতো ঘুরিয়া ¤ বেড়াইতেছে। জেলে - নৌকার আলো ওগুলি। সমস্ত রাত্রি আলোগুলি এমনিভাবে নদীবক্ষের রহস্যময় ম্লান অন্ধকারে দুর্বোধ্য সংকেতের মত সঞ্চালিত হয়। এক সময় মাঝরাত্রি পার হইয়া যায়। শহরে, গ্রামে, রেলস্টেশনে ও জাহাজ-ঘাটে শ্রান্ত মানুষ ¤ চোখ বুজিয়া ¤ ঘুমাইয়া ¤ পড়ে। শেষ রাত্রে ভাঙা-ভাঙা মেঘে ঢাকা আকাশে ক্ষীণ চাঁদটি ওঠে। জেলে-নৌকার আলোগুলি তখনও নেভে না। নৌকার খোল ভরিয়া জমিতে থাকে মৃত সাদা ইলিশ মাছ। লণ্ঠনের আলোয় মাছের আঁশ চকচক করে, মাছের নিষ্পলক চোখগুলিকে স্বচ্ছ নীলাভ মণির মত দেখায়। কুবের মাঝি আজ মাছ ধরিতেছিল দেবীগঞ্জের
50
IMG_20230101_0018.jpg
u039
30
M
Service - Government Sector
Literature - Short Story
707
Padma Nodir Majhi - Manik Bandopadhyay
true
false
false
পুজোর পরব আছে। ভান্ডার নানা সামগ্রীতে ভরা। কত বেনারসি কাপড়, কত সোনার অলংকার; আর ভান্ড ভরে ক্ষীর দই, পাত্র ভরে মিষ্টান্ন। মা সওগাত পাঠাচ্ছেন। বড়োছেলে বিদেশে রাজ্যসরকারে কাজ করে; মেজোছেলে সওদাগর, ঘরে থাকে না; আর কয়টি ছেলে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করে পৃথক পৃথক বাড়ী করেছে। কুটুম্বরা আছে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে। কোলের ছেলেটি সদর দরজায় দাঁড়িয়ে সারা দিন ধরে দেখছে, ভারে ভারে সওগাত চলছে, সারে সারে দাসদাসী, থালাগুলি রংবেরঙের রুমালে ঢাকা। দিন ফুরোলো। সওগাত সব চলে গেল। দিনের শেষনৈবেদ্যের সোনালী ডালি নিয়ে সূর্যাস্তের শেষ আভা নক্ষত্রলোকের পথে নিরুদ্দেশ হলো। ছেলে ঘরে ফিরে এসে মা কে বললো, 'মা সবাইকে তুই সওগাত দিলি, কেবল আমাকে না।' মা হেসে বললেন, 'সবাইকে সব দেওয়া হয়ে গেছে, এখন তোর জন্য কী বাকি রইলো এই দেখ।' এই বলে তার কপালে চুম্বন করলেন। ছেলে কাঁদোকাঁদো সুরে বললো, 'সওগাত পাবো না?' মা বললেন, 'যখন দূরে যাবি তখন সওগাত পাবি।' এই শুনে ছেলে বললো, 'আর যখন কাছে থাকি, তখন তোর হাতের জিনিস দিবি নে ?' মা তাকে দুহাত বাড়িয়ে কোলে নিলেন; বললেন, 'এই তো আমার হাতের জিনিস।
51
IMG_20230101_0016.jpg
u041
30
F
Service - Government Sector
Literature - Short Story
955
Sougat - Rabindranath Tagore
false
false
true
মানভূম জেলার ফায়ার - ব্রিকসের কারখানার একটা মেস। খাপরায় ছাওয়া একটানা লম্বা ব্যারাকের ধরনের একখানা বাংলো, সামনে সারি সারি থামওয়ালা একফালি টানা বারান্দা - সেই বারান্দার উপর বসিয়া কর্মচারীরা সকালে আপিস যাইবার জন্য প্রস্তত হইতেছিল। শীতকালের প্রাতঃকাল, সাড়ে ছয়টায় কারখানার ভোঁ বাজে। অশ্বিনী চা খায় না, সে গরম দুধের বাটিতে চুমুক দিতেছিল; ভিখারি আউটডোরে কাজ করে, সে নীল রঙের প্যান্টটা পরিয়া মোজা জোড়াটা খুঁজিতেছিল; তরুণ বদি রোজ পঁচিশটা ডন ফেলে, একাদশ ডনটি ফেলিতেছিল; বুড়া শশী মিস্ত্রি গত রাত্রের উদ্বৃত্ত মাংসের চর্বিগুলা গিলিতেছিল; ঠিক এই সময়েই কারখানার ভোঁ বাজিয়া উঠিল।
52
IMG_20230101_0020.jpg
u036
52
M
Service - Government Sector
Literature - Short Story
578
Khajanchibabu - Tarashankar Bandopadhyay
false
false
false
কমলবাবু বললেন, 'আমি পাড়াতেই থাকি, হিন্দুস্থান পার্কের কিনারায়। আপনাকে অনেকবার দেখেছি, আলাপ করবার ইচ্ছে হয়েছে কিন্তু সাহস হয়নি। আজ একটা সূত্র পেয়েছি, তাই ভাবলাম এই ছুতোয় আলাপটা করে নিই। আমার জীবনে একটি ছোট সমস্যা এসেছে।' 'সমস্যা।' ব্যোমকেশ সিগারেটের কৌটো এগিয়ে দিয়ে বললো, 'বলুন বলুন, অনেকদিন ও বস্তুর মুখদর্শন করিনি।' গ্রীষ্মের একটি রবিবার সকালে বোমকেশের কেয়াতলার বাড়িতে বসে কথা হচ্ছিল। কমলবাবুর চেহারাটি নাড়গোপালের মত, কিন্তু মুখের ভাব চটপটে ¤¤ বুদ্ধিসমৃদ্ধ। তিনি হাসিমুখে একটি সিগারেট নিয়ে ধরালেন, তারপর গল্প আরম্ভ করলেন, 'আমার নাম কমলকৃষ্ণ দাস, কাছেই ভারত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা আছে, আমি সেখানকার ক্যাশিয়ার। বছর দেড়েক আগে পুরুলিয়া থেকে বদলি হয়ে এখানে এসেছি। কলকাতায় এসেই মুশকিলে পড়ে গেলাম; কোথাও বাসা খুঁজে পাই না। শেষ পর্যন্ত একটি - লোক তার বাড়ির নিচের তলায় একটি ঘর ছেড়ে দিল। ফ্যামিলি আনা হলো না, স্ত্রী আর মেয়েকে পুরুলিয়ায় রেখে একলা বাসায় উঠলাম।' 'বাড়ীওয়ালার নাম অক্ষয় মন্ডল। বাড়িটি দোতলা; নিচের তলায় দুটি ঘর, ওপরে দুটি; যাতায়াতের রাস্তা আলাদা। অক্ষয় মন্ডল দোতলায় একা থাকে, কিন্তু তার কাছে লোকজনের যাতায়াত আছে। মিষ্টভাষী লোক, কিন্তু কী কাজ করে বুঝতে পারলাম না। মাঝে মাঝে আমাদের ঘরে এসে গল্পসল্প করতো, কিন্তু আমাকে কোনদিন দোতলায় ডাকতো না। পড়শিদের সঙ্গেও যাতায়াত ছিল না। আমাদের ব্যাংকে ওর একটা চালু খাতা ছিল।'
53
IMG_20230101_0017.jpg
u038
50
M
Service - Government Sector
Literature - Detective Novel
1,252
Lohar Biscuit - Sharadindu Bandopadhyay
true
false
true
শনিবার সকালবেলা কমলবাবুর বাসা থেকে পুলিশের পাহারা তুলে নেওয়া হলো। কমলবাবু ভুতোকে একটা কেনেলে রেখে এলেন। পুলিশ ছাড়া অন্য একটি পক্ষ বাসার উপর নজর রেখেছিল, তারা সব লক্ষ্য করলো। বিকেলবেলা কমলবাবু তাঁর স্ত্রী মেয়ে এবং পোঁটলা - পুঁটলি নিয়ে বাসায় চাবি দিয়ে চলে গেলেন, যাবার পথে থানায় রাখালবাবুকে চাবি দিয়ে বলে গেলেন, 'খিড়কির দোর ভেজিয়ে রেখে এসেছি! এখন আমার বরাত আর আপনাদের হাতযশ।' সারাদিন বাড়িটা শূন্য পড়ে রইল। রাত্রি আন্দাজ সাড়ে আটটার সময় ব্যোমকেশকে নিয়ে রাখালবাবু কমলবাবুর বাসার দিকে গেলেন। দুজনের পকেটেই পিস্তল এবং বৈদ্যুতিক টর্চ। সরেজমিনে আগে থাকতেই দেখা ছিল, পাশের বাড়ির পাঁচিল ডিঙিয়ে দুজনে কমলবাবুর খিড়কি দিয়ে বাড়িতে ঢুকলেন। খিড়কির দরজা বন্ধ করে দিয়ে পা টিপে টিপে সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠলেন। কান পেতে শুনলেন, বাড়ী নিস্তব্ধ। রাখালবাবু পলকের জন্য দোরের মাথায় টর্চের আলো ফেলে দেখলেন, ঘোড়ার খুর যথাস্থানে আছে। তিনি তখন ফিসফিস করে বললেন, 'চলুন ছাদে গিয়ে অপেক্ষা করলেই বোধ হয় ভালো হবে।' ব্যোমকেশ তাঁর কানে কানে বললো, 'না। আমি ছাদে যাচ্ছি, তুমি এই ঘরে লুকিয়ে থাকো। দুজনেই ছাদে গেলে ছাদের দোর এদিক থেকে বন্ধ করা যাবেনা, আসামির সন্দেহ হবে।' রাখালবাবু বললেন, 'বেশ আপনি ছাদে গিয়ে লুকিয়ে থাকুন, আমি দোর বন্ধ করে দিচ্ছি।' ব্যোমকেশ ছাদে উঠে গেলে রাখালবাবু ছাদে হুড়কো লাগিয়ে নেমে এলেন। কতক্ষন অপেক্ষা করতে হবে ঠিক নেই, এমনকি আসামি আজ নাও আসতে পারে। তিনি দোতলার ঘরের ভিতরে ঢুকে দোরের পাশে লুকিয়ে রইলেন।
54
IMG_20230103_0001.jpg
u014
23
F
Student
Literature - Detective Novel
1,320
Lohar Biscuit - Sharadindu Bandopadhyay
true
false
true
অনেকদিন পরে গলির মোড়ের অশথতলা দিয়ে আসছি - ও হরি! এখানে নুড়িটাকে নিয়ে এসেছে যে! নুড়ির স্থূল অঙ্গটা গাছের গোড়ায় এমন ভাবে পুঁতেছে যে, ওপরের উদ্ধৃত গোলাকার নিটোল মসৃণ অংশ দেখে শিবলিঙ্গ বলে ওকে সন্দেহ হতে পারে। এই প্রয়োগ - নৈপুণ্য যার, তাকে বাহাদুরি দিতেই হয়। নুড়িটার চারিদিকে ফুল বেলপাতা আতপচালের ছড়াছড়ি। সকালের দিকে এই পথে যে সব পূণ্যলোভী গঙ্গাস্নানে যায়, তারাই ফেরার পথে সস্তায় পারলৌকিক পাথেয় - সঞ্চয়ের সুবর্ণ সুযোগরূপে একে গ্রহণ করেছে সহজেই বোঝা গেল। যাইহোক, মহাসমারোহেই ইনি এখানে বিরাজ করছেন - অতঃপর এঁর সমুজ্জ্বল ভবিষ্যত সম্বন্ধে কারোর দুশ্চিন্তার আর কোনো কারণ নেই। নুড়িটার এই পদোন্নতিতে আন্তরিক খুশি হলাম। আমিই একদিন ওকে মুক্তি দিয়েছি, এখন সবাইকে ও মুক্তি বিতরণ করতে থাক - ওর গৌরব, সে তো আমারই গর্ব। পৃথিবীর বুকে ওর জন্মদাতা আমি, এইজন্য মনে মনে পিতৃত্বের একটা পুলক অনুভব না করে পারলাম না! এবং কায়মনোবাক্যে ওকে আশীর্বাদ করলাম। সেই লোকটাকে তার দেবতার সন্ধান দেব কিনা মাঝে মাঝে ভেবেছি। পথে ঘাটে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে, কিন্তু পাথরটার কথা ও আর পাড়ে না। পাথরটার পলায়নে ভেবেছিলাম ও মুহ্যমান হয়ে পড়বে, কিন্তু উল্টে ওকে প্রফুল্লই দেখা গেল। এত বড় একটা বিচ্ছেদ-বেদনা যখন ও কাটিয়ে উঠতে পেরেছে তখন আর ওকে উতলা করে তোলায় কী লাভ।
55
IMG_20230108_0002.jpg
u039
26
M
Student
Literature - Short Story
1,143
Debotar Jonmo - Shibram Chakraborty
false
false
true
বিমলের একগুয়েমি যেমন অব্যয়, তেমনি অক্ষয় তার ওই ট্যাক্সিটার পরমায়ু। সাবেক আমলের একটা ফোর্ড - প্রাগৈতিহাসিক গঠন, সর্বাঙ্গে একটা কদর্য দীনতার ছাপ। যে নেহাত দায়ে পড়েছে বা জীবনে দেখেনি, সে ছাড়া আর কেউ ভুলেও বিমলের ট্যাক্সির ছায়া মাড়ায় না। দেখতে যদিও জবুথবু কিন্তু কাজের বেলায় বড়ই অদ্ভুতকর্মা বিমলের এই ট্যাক্সি। বড়ো বড়ো চাঁই গাড়ির পক্ষে যা অসাধ্য, তা ওর কাছে অবলীলা। এই দুর্গম অভ্রখনি অঞ্চলের ভাঙাচোরা ভয়াবহ জংলিপথে - ঘোর বর্ষার রাত্রে - যখনই ভাড়া নিয়ে ছুটতে সব গাড়ীই নারাজ, তখন সেখানে অকুতোভয়ে এগিয়ে যেতে পারে শুধু বিমলের এই পরম প্রবীণ ট্যাক্সিটি। তাই সবাই যখন জবাব দিয়ে সরে পড়ে, একমাত্র তখনই শুধু গরজের খাতিরে আসে তার ডাক, তার আগে নয়।
56
IMG_20230102_0008.jpg
u042
17
F
Student
Literature - Short Story
655
Ojantrik - Subodh Ghosh
false
false
false
রমেনের বাবা হর্ষনাথ ধনেশগঞ্জের মস্ত আড়ৎদার। বছরখানেক আগে রমেনকে সে তার পিসতুতো ভগ্নীপতি সূর্যপদর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল - ছেলেটাকে একটু শান্তশিষ্ট ভদ্র বানাবার আশায়। রমেন একেবারে মারাত্মক রকম দুরন্ত হয়ে উঠেছিল। কিছুতেই সে তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছিল না। দু-তিনবার কোর্টে পর্যন্ত তাকে দৌড়তে হয়েছিল ছেলের জন্য। শেষে রমেন যখন একদিন ম্যাজিস্ট্রেট মিস্টার বসুর ছেলেকে মেরে রক্তারক্তি করে দিল, তখন সে পরিষ্কার বুঝতে পারলো যে এ ছেলেকে সামলে চলা তার সামর্থ্য নয়। এ ছেলে তার সর্বনাশ করবে। যুদ্ধের বাজারে কতভাবে কত কামাচ্ছে, ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে চটালে রক্ষা আছে ? দামী দামী ভেট নিয়ে সে সটান গিয়ে হাজির হলো একেবারে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের বাড়িতে, মার-খাওয়া ছেলেটির জন্যই উপহার রইলো দুশো টাকার। লুটিয়ে পড়ল মিসেস বসুর পায়ের তলে। প্রার্থনা করল রমেনের নিস্তার। ছেলের সম্বন্ধে কী ব্যবস্থা করবে আগেই ভেবে ঠিক করে ফেলেছিল, তাই বিনা দ্বিধায় জানিয়ে দিল যে, ভয় পেয়ে রমেন কোথায় পালিয়ে গিয়েছে, ফিরে এলে, খুঁটিতে বেঁধে তাকে চাবকে লাল করে দেবে। সেইদিনই রমেনকে নিয়ে সে কলকাতা রওনা হয়ে গেলো, ছেলেকে সুর্যপদর জিম্মা করে দেবার জন্য। রমেনের মা একটু আপত্তি করেছিল। 'উনি স্বদেশী - টদেশি করেন শুনেছি, খোকাকে আবার না বিগড়ে দেন।'
57
IMG_20230129_0001.jpg
u044
54
M
Service - Government Sector
Literature - Short Story
1,115
Osohojogi - Manik Bandopadhyay
false
false
true
কুবের মাঝি আজ মাছ ধরিতেছিল দেবীগঞ্জের মাইল দেড়েক উজানে। নৌকায় আরো দুজন লোক আছে। ধনঞ্জয় এবং গণেশ। তিনজনের ¤ বাড়ীই কেতুপুর গ্রামে। আরও দুমাইল উজানে পদ্মার ধারেই কেতুপুর গ্রাম। নৌকাটি বেশি বড়ো নয়। পিছনের দিকে সামান্য একটু ছাওনি আছে। বর্ষা - বাদলে দু-তিন জন কোন - ¤¤ রকমে মাথা গুঁজিয়া থাকিতে পারে। বাকি সবটাই খোলা। ¤ মাঝখানে নৌকার পাটাতনে হাত দুই ফাঁক রাখা হইয়াছে। এই ফাঁক দিয়া নৌকার খোলের মধ্যে মাছ ধরিয়া জমা করা হয়। জাল ফেলিবার ব্যবস্থা পাশের দিকে। ত্রিকোণ বাঁশের ফ্রেমে বিপুল পাখার মতো জালটি নৌকার পাশে লাগানো আছে। জালের শেষ সীমার বাঁশটি নৌকার ¤ পার্শ্বদেশের সঙ্গে সমান্তরাল। তার দুই প্রান্ত হইতে লম্বা দুটি বাঁশ নৌকার ধারে আসিয়া পরস্পরকে অতিক্রম করিয়া নৌকার ভিতরে হাত দুই আগাইয়া আসিয়াছে।
58
IMG_20230101_0019.jpg
u039
30
M
Service - Government Sector
Literature - Short Story
702
Padma Nodir Majhi - Manik Bandopadhyay
true
false
false
End of preview. Expand in Data Studio

Dataset Card for Bongabdo

Dataset Summary

Bongabdo is a curated dataset of full-page Bangla (Bengali) handwritten text, intended for use in offline handwriting recognition tasks using modern neural architectures. It includes high-resolution scanned images of handwritten Bangla scripts, transcriptions, and rich per-document metadata. The data has been contributed by people of diverse age groups, occupations, and genders, making it well-suited for training robust handwriting recognition models that generalize well across handwriting styles.

The dataset is especially valuable given the low-resource nature of the Bengali language in handwriting datasets. It was introduced in the research paper:

Towards Full-page Offline Bangla Handwritten Text Recognition using Image-to-Sequence Architecture Ayanabha Ghosh, 2023 – IEEE Silchar Subsection Conference, Silchar, Assam, India.

This dataset was ported from https://www.kaggle.com/datasets/joebeachcapital/handwritten-text-recognition-bongabdo

Supported Tasks

  • Offline Handwritten Text Recognition (HTR)
  • Document Layout Understanding (potentially, using zone-level metadata)
  • Bangla NLP Preprocessing (from human handwriting)

Dataset Structure

Each example in the dataset contains the following:

Features

Column Name Type Description
image Image Full-page scanned handwritten Bangla document.
text string Transcription of the handwritten text from the document (Unicode Bangla).
SN int64 Serial number of the example.
Filename string Name of the image and annotation files.
Username string An anonymized contributor ID.
Age int64 Age of the writer.
Gender string Gender of the writer (M/F).
Occupation string Writer’s occupation (e.g., Student).
Category string Topical category of the text (e.g., News - Travel).
Char Count float64 Number of characters in the transcription.
Article link string Original source URL (for typed text, not the handwriting).
Strike bool Whether the handwriting includes strike-throughs.
Bangla - English bool Whether the text includes code-switching between Bangla and English.
Multi - Paragraph bool Whether the document contains multiple paragraphs.

Data Splits

The current release does not include predefined training/validation/test splits. Users are encouraged to split the dataset as needed using train_test_split() from the datasets library or other strategies.

Usage Example

from datasets import load_dataset

ds = load_dataset("deepcopy/handwritten-text-recognition-bongabdo")
sample = ds["train"][0]
sample["image"].show()
print(sample["text"])

Citation

If you use this dataset in your research or development, please cite the following paper:

@inproceedings{ghosh2023bangla,
  title={Towards Full-page Offline Bangla Handwritten Text Recognition using Image-to-Sequence Architecture},
  author={Ghosh, Ayanabha},
  booktitle={IEEE Silchar Subsection Conference},
  year={2023},
  address={Silchar, Assam, India}
}

Licensing

Attribution 4.0 International (CC BY 4.0)

Downloads last month
89